Jalpaiguri District Hospital: গায়েব পিকুর চাবি, অগত্যা তালা ভেঙে ঢুকলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা

Child Fever: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শিশু হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালগুলিতে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে শ'য়ে শ'য়ে বাচ্চার ভিড়।

Jalpaiguri District Hospital: গায়েব পিকুর চাবি, অগত্যা তালা ভেঙে ঢুকলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা
জলপাইগুড়ির হাসপাতালে উপচে পড়ছে ভিড় নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 7:10 AM

জলপাইগুড়ি: করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলার কথা চিন্তা করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে তৈরি করা হচ্ছে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু (PICU)। সিংহভাগ কাজই সারা বলে সূত্রের খবরয এদিকে অজানা জ্বরের (Unknown Fever) প্রকোপে নাজেহাল হাসপাতালে আচমকাই খোয়া গেল সেই বিশেষ ওয়ার্ডের চাবি। শুক্রবার কলকাতা থেকে যাওয়া স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেই ওয়ার্ডে প্রবেশ করানো হল তালা ভেঙে! এমন কাণ্ড জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল। জলপাইগুড়ি পৌঁছে তারা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। এরপর তারা হাসপাতালের শিশু বিভাগ-সহ অন্যান্য বিভাগ পরিদর্শনে যায়। এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দলটি নির্মিয়মাণ পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট পরিদর্শন করতে পারে এই খবর পাওয়ার পর নির্মাণ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত দফতরের কর্মীদের নজরে আসে পিকু ওয়ার্ডে তালা দেওয়া। শুরু হয় চাবির গোছা খোঁজার কাজ।

ততক্ষণে চিকিৎসকদের টিমটি পৌঁছে গিয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতালের তিন তলায় অবস্থিত শিশু বিভাগ পরিদর্শন করছে তারা। এরপরই ওই একই বিল্ডিংয়ের একেবারে নিচের তলায় অবস্থিত নির্মিয়মাণ পিকু ইউনিট পরিদর্শন করতে যাওয়ার কথা আধিকারিকদের। হন্যে হয়ে খুঁজেও মেলেনি চাবি। এরপরই তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার খানিকক্ষণ পরই সেখানে আসে বিশেষ টিমের সদস্যরা। যদিও এখানকার পরিকাঠামো দেখে সন্তোষই প্রকাশ করেছেন কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

কিন্তু এত বড় একটা হাসপাতালে এরকম ঘটনা ঘটল কেন? তার কোনও উত্তর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ঘটনায় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রাহুল ভৌমিক জানান, কেন চাবি পাওয়া গেল না তা খতিয়ে দেখা হবে।

প্রসঙ্গত, জ্বরের প্রকোপে কাঁপছে গোটা বাংলা। শিশুদের মধ্যে এ এক অদ্ভূত জ্বরের প্রকোপ। কোথাও কোথাও এই জ্বরকে আরএসভি ভাইরাসজনিত বলা হচ্ছে, কোথাও বলা হচ্ছে নিউমোনিয়া, কেউ আবার বলছে মিস-সি। তবে এমনও বহু হাসপাতাল রয়েছে, যারা এখনও এই জ্বরের কারণই খুঁজে বের করতে পারেনি। তাদের কাছে এখনও এই জ্বরের পরিচিতি অজানা জ্বর হিসাবেই।

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শিশু হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালগুলিতে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে শ’য়ে শ’য়ে বাচ্চার ভিড়। শুক্রবারই জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শিলিগুড়ি হাসপাতালে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের চার সদস্যের বিশেষ প্রতিনিধি দল উত্তরবঙ্গের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে তারা একটি বৈঠকও করে। সেই বৈঠকের পরেই জলপাইগুড়ির বিশেষ জনস্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিত্‍সক সুশান্ত রায় জানান, বড়দের থেকেই মূলত শিশুরা সংক্রমিত হচ্ছে।

সুশান্ত রায়ের কথায়, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অল্প সংখ্যক কিছু শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তারা ঠিক কী কারণে আক্রান্ত হচ্ছে তারই নমুনা পরীক্ষা করতে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছিল। এখানে সবচেয়ে বেশি সদ্যোজাত থেকে তিন বছর বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাত্‍ যাদের মেটাবলিজম ও অনাক্রম্যতা এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি। মূলত বড়দের থেকেই এই সংক্রমণ। আরএস (Respiratory Syncytial Virus) ভাইরাসের জন্য বাচ্চাদের ধুম জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এই ভাইরাসের কবলে পড়ছেন মাঝবয়সী থেকে বৃদ্ধরাও। তাঁদের থেকেই মূলত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে ভয়ের কিছু নেই। পরিস্থিতি সহজেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য।”

আরও পড়ুন: Laxmi Bhandar: লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ৫০০ আসার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০০০ টাকা!