Lataguri: ‘উত্তরবঙ্গকে হাতে না মেরে ভাতে মারার চক্রান্ত চলছে’, লাটাগুড়িতে ‘বন্য আবাস’ নিয়ে ময়দানে বিজেপি

Rony Chowdhury

Rony Chowdhury | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Updated on: Mar 19, 2023 | 10:50 PM

Jalpaiguri: রবিবার বিরোধী দলের মুখ্যসচেতক তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ ৮ জন বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদ সেই জায়গা ঘুরে দেখেন।

Lataguri: 'উত্তরবঙ্গকে হাতে না মেরে ভাতে মারার চক্রান্ত চলছে', লাটাগুড়িতে 'বন্য আবাস' নিয়ে ময়দানে বিজেপি
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

ধূপগুড়ি: লাটাগুড়িতে (Lataguri) জঙ্গল কেটে ‘বন্য আবাস’ তৈরির চেষ্টার অভিযোগ তুলে গত সোমবার বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, জঙ্গল নিধনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। সেই ঘোষণা মতোই রবিবার লাটাগুড়ির সেই বিতর্কিত জায়গা পরিদর্শনে গেলেন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির ৮ বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। অভিযোগ ওঠে, জঙ্গল কেটে আবাস তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিবেশপ্রেমীদের পাশাপাশি বিজেপির বিধায়করাও এই অভিযোগে সরব হন। হাতিদের করিডর বন্ধ করে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত লাটাগুড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গায় অবৈধভাবে আবাসটি তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতেই উত্তাল হয় বিধানসভা।

রবিবার বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ্যসচেতক তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ ৮ জন বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদ সেই জায়গা ঘুরে দেখেন। যে জায়গা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়েছে, সেই জায়গা ঘুরে দেখেন তাঁরা। এরপরই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি এই জঙ্গল কেটে বন্য আবাস তৈরি করছেন। রীতিমতো অর্থের বিনিময়ে এই সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে সেই শিল্পপতিকে বলেও অভিযোগ করেন শিলিগুড়ির বিধায়ক।

শঙ্কর ঘোষের কথায়, “উত্তরবঙ্গকে হাতে না মেরে ভাতে মারার চক্রান্ত করছে সরকার। রাজ্য সরকার শিল্প করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি করে পিছন দরজা নিয়ে অর্থ আয় করছে। আমরা আজ ঘুরে দেখলাম। নিশ্চিত বন্য আবাস তৈরির কাজ চলছে। বনদফতর ও সরকার যে দাবি করেছে তাও মিথ্যা। আমরা কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আরটিআইও করা হয়েছে।”

এ নিয়ে হাইকোর্টেও মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়কদের দাবি, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, জঙ্গলের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও কমার্শিয়াল রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স তৈরি করা যায় না। আর এখানে ৫০ মিটারের মধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে বন্য আবাস।

যদিও তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইককে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি খুব পরিষ্কার কোনও জবাব দিতে পারেননি। জানান, এটা ‘টুরিস্ট প্লেস’। অন্যদিকে এই বিতর্ক নিয়ে আগেই বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছেন, “জায়গাটি লাটাগুড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে। আর গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে ৩.২ কিলোমিটার দূরে। অর্থাৎ কোনওভাবেই এটা আমাদের জায়গার মধ্যে নয়।” বনদফতরের নয়, এ জমি ব্যক্তিগত মালিকানার, দাবি বনমন্ত্রীর। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে কোনও বানিজ্যিক নির্মাণ হচ্ছে না বলেই বনদফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla