Elephant: শ্রমিকদের টিফিন চুরি করে খেলো হাতি, রুটি-আলুভাজা-ঢেঁকি শাক, সব সাবাড়

Dhupguri: টিফিন বাক্স করে চা শ্রমিকদের আনা খাবার বাগানের একটি গাছের ছায়ায় সার দিয়ে ঝোলানো ছিল ডুমুরঝোড়া সেকশনে। হাতির এমন ‘টিফিন চুরি’ দেখে হতভম্ব শ্রমিকরা।

Elephant: শ্রমিকদের টিফিন চুরি করে খেলো হাতি, রুটি-আলুভাজা-ঢেঁকি শাক, সব সাবাড়
এই হাতিই খাবার খেয়ে ফেলেছে শ্রমিকদের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 7:57 PM

ধূপগুড়ি: খিদের চোটে চা শ্রমিকদের টিফিন ‘চুরি’ করে খেয়ে ফেলল হাতি। কারও টিফিন কৌটো থেকে গোগ্রাসে সাবাড় করেছে রুটি, ঢেকি শাক। কারও টিফিন বাক্স থেকে খেয়ে নিয়ে ভাত, আলু ভাজা। চা-বলয়ে হাতির নানা উৎপাত, নানা কাণ্ড দেখেছেন শ্রমিকরা। তবে এভাবে টিফিন খেয়ে নেওয়ার কথা কখনও শোনেননি তাঁরা। চাক্ষুষের তো প্রশ্নই নেই। প্রথমবার এর সাক্ষী থাকলেন নাগরাকাটার (Nagrakata) বামনডাঙার চা বাগানের শ্রমিকরা। শনিবার সকালে বাগানের ডুমুরঝোড়া সেকশনে কাঁচা পাতা তুলছিলেন শ্রমিকরা। এমন সময় সেখানে হাজির হয় একটি ছোট হাতি। স্বাভাবিকভাবেই এই দৃশ্য দেখে সবাই দে ছুট। এরপরে যা ঘটে, তা নজিরবিহীন। দুপুরের টিফিনের জন্য নিয়ে আসা একে একে ৮৪ জনের খাবার খেয়ে তবেই এলাকা ছাড়ে মাকনা।

টিফিন বাক্স করে চা শ্রমিকদের আনা খাবার বাগানের একটি গাছের ছায়ায় সার দিয়ে ঝোলানো ছিল ডুমুরঝোড়া সেকশনে। হাতির এমন ‘টিফিন চুরি’ দেখে হতভম্ব শ্রমিকরা। কৈলাশ গোপ নামে এক শ্রমিক নেতা বলেন, “এখানেই জন্ম- কম্ম। বলতে পারেন হাতির সঙ্গেই আমাদের ঘর। শ্রমিক আবাস, দোকানপাট ভাঙচুর করে মজুত থাকা খাবার সাবাড় করে যাওয়া বামনডাঙ্গায় নিত্যদিনের ঘটনা। তা বলে কাজের স্থানে হানা দিয়ে এমন চুরি। এরকম কস্মিনকালেও দেখিনি।”

সুমিত্রা ওরাওঁ নামে আরেক চা শ্রমিকের কথায়, “ভোরে উঠে দু’টো চাল ফুটিয়ে টিফিন এনেছিলাম। সঙ্গে ছিল আলু ভাজা। দুপুরে কাজের ফাঁকে একটু খেয়ে নিতাম। সবই হাতির পেটে গেল।” অন্যদিকে সুকুরমুণি ওরাওঁয়ের কথায়, “টিফিনে ছিল রুটি আর ঢেঁকি শাক। হাতি যে এসবও খায় আগে কোনওদিন শুনিনি।”

এদিন মাকনাটি পাশের ডায়না জঙ্গল থেকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা পেরিয়ে বাগানে যেখানে কাজ হচ্ছিল সেখানে হানা দেয়। দুলকি চালে এগিয়ে আসা হাতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে কর্মরত শ্রমিকরা ছোটাছুটি শুরু করে দেন। প্রায় দু’ঘন্টা সেখানে কাজ বন্ধ থাকে। পরে শ্রমিকরাই প্রতিরোধ তৈরি করলে হাতিটি গরুমারার জঙ্গলের দিকে চলে যায়। তার আগেই অবশ্য ঘটে গেছে অভিনব টিফিনকাণ্ড। বন দফতরের খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল দে বলেন, “হাতিটির গতিবিধি আমরা নজরে রাখছি।”