Tea Garden: বিশ্ব চা দিবসের দিনই হতাশার সুর চা চাষিদের গলায়
Tea Garden: জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষী সমিতির জেলা সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, "চলতি বছরে আবহাওয়া খামখেয়ালীতে প্রচণ্ড ক্ষতির মুখে পড়েছে চা শিল্প।
জলপাইগুড়ি: শনিবার ২১ শে মে বিশ্ব চা দিবস। আর এই দিনে কাচা চা পাতার দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ চা ক্ষুদ্র চা কৃষকরা। তাই উৎপাদিত ফসলের উপযুক্ত মূল্য আদায়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে চায়ের ফ্লোর প্রাইস ঘোষণার দাবি জানালেন জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা কৃষকরা।
রবিবার জলপাইগুড়ি পাট গোলায় তাদের জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা কৃষক সমিতির কার্যালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিরা। সেখানে তাদের কাঁচা পাতার দাম ক্রমশ কমতে থাকায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সভায় চা চাষের পাশাপাশি চা বাগানের অব্যাবহৃত জমিতে বিকল্প বাগিচা ফসল চাষ করতে উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষী সমিতির জেলা সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “চলতি বছরে আবহাওয়া খামখেয়ালীতে প্রচণ্ড ক্ষতির মুখে পড়েছে চা শিল্প। এবারে অত্যধিক গরম এবং বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে প্রচণ্ড রকম ভাবে রোগ পোকার আক্রমণ বেড়েছে। এর ফলে ফাস্ট ও সেকেন্ড ফ্ল্যাশ মার খেয়েছে। ফলে কাচা চা পাতার উৎপাদন অত্যন্ত কম। ভাল চা পাতার অভাবে প্রায় ৯০ শতাংশ বটলিফ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা জানি উৎপাদন কম থাকলে পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু এবার একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ করা যাচ্ছে । চা ফ্যাক্টরি গুলি কাচা চা পাতার দাম কম দিচ্ছে। আমাদের উৎপাদন খরচ কেজি প্রতি অন্তত ২০ টাকা। কিন্তু আমাদের দাম দেওয়া হচ্ছে ১৬ টাকা প্রতি কেজি হিসাবে। বাজারে তৈরি চায়ের চাহিদা কমেনি। সেখানে চড়া দামে চা পাতা বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা অত্যন্ত সমস্যার মুখে পড়ে গিয়েছি। আমরা আমাদের ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে আগামী ৭ জুন টি বোর্ডের সামনে দিনভর ধর্নায় বসবো। পাশাপাশি আমাদের দাবি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার মিলে একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে চায়ের ফ্লোর প্রাইস ঘোষণা করুক।”
হতাশার সুর শোনা গেলো ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের ( DBITA) চেয়ারম্যান জীবন চন্দ্র পাণ্ডের গলাতেও। তিনিও জানালেন আবহাওয়া খামখেয়ালীপনায় এবার চায়ের উৎপাদন কমেছে। পাশাপাশি চা শ্রমিক সংগঠনের মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত দাবি দাওয়া নিয়েও সমস্যায় রয়েছেন তারা। চলতি মরশুমে চায়ের বাজার দাম যদি না বাড়ে তবে আগামীতে বাগান পরিচালনা করতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়বে চা বাগানগুলি বলে জানিয়েছেন তিনি।