Bangladeshi Nationals: দার্জিলিং দেখতে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসেন সাহিদুর, মাঝরাস্তায় খোয়ালেন ভিসা-পাসপোর্টের ব্যাগ

Jalpaiguri: পঞ্চগড়ের সাহিদুর বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। বাংলাদেশের শালবাড়ি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র তিনি।

Bangladeshi Nationals: দার্জিলিং দেখতে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসেন সাহিদুর, মাঝরাস্তায় খোয়ালেন ভিসা-পাসপোর্টের ব্যাগ
ভারতে এসে ভিসা পাসপোর্ট খোয়ালেন দুই বাংলাদেশের নাগরিক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 11:50 PM

জলপাইগুড়ি: ‘আজকে (উচ্চারণে তা ‘আশকে’) আমার মন ভাল নেই’। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল চট্টগ্রামের ভাষায় তৈরি অডিয়ো কনটেন্টটি। বহু গ্রাফিক্সে এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে নানা মজাদার ভিডিয়োও। বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেড়াতে এসে ভিসা খুইয়ে মহম্মদ রুহুল আমিনের আপাতত মুখের কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই শব্দবন্ধই। তবে তাঁর অবস্থা মজার নয়, যথেষ্ট চিন্তায় তিনি। ভারতে থাকেন বেশ কয়েকজন আত্মীয়। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন বাবা-ছেলে। বেড়াতে এসে খোয়ালেন টুরিস্ট ভিসা। একেবারে অকূল পাথারে পদ্মাপারের দুই নাগরিক। সূত্রের খবর, দার্জিলিং দেখার পাশাপাশি ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে মেখলিগঞ্জ সীমান্ত ধরে ভারতে আসেন মহম্মদ রুহুল আমিন (৫০) ও তাঁর ছেলে সাহিদুর রহমান (২০)। তাঁরা বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা থানা এলাকার বাসিন্দা। রবিবারই শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।

পঞ্চগড়ের সাহিদুর বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। বাংলাদেশের শালবাড়ি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র তিনি। ছোট থেকেই দার্জিলিংয়ের অনেক গল্প শুনেছেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য প্রতিনিয়তই দেখার সুযোগ পান। পাহাড়ের সেই মোহময়ী রূপ চাক্ষুষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সাহিদুর। এরপরই বাবা-ছেলে ভারতে আসেন। তাঁরা জানান, ভারতে এসে তাঁরা হলদিবাড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফুলবাড়িতে আরও এক আত্মীয়ের বাড়িতেই যাবেন বলে রবিবার শিলিগুড়ি পৌঁছন।

শিলিগুড়িতে বেশ কিছুটা সময় ছিলেন রুহুল আমিন ও সাহিদুর রহমান। সেখানে ঘোরাফেরার পর শিলিগুড়ি ভেনাস মোড়ে পৌঁছন। টোটো চেপে জলপাই মোড়ে নামেন। এরপরই তাঁদের নজরে আসে যে সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ নেই। এদিকে সেই ব্যাগেই তাঁদের পাসপোর্ট, ভিসা-সহ অন্যান্য কাগজপত্র ছিল। উদভ্রান্তের মতো বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে সোজা শিলিগুড়ি থানায় যান। সেখানে লিখিত অভিযোগও জানান। এরপর ফুলবাড়ি পশ্চিম ধানতলা এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছন। সেখানেই রয়েছেন তাঁরা।