CPIM Joining: উত্তরবঙ্গে উলটপুরাণ! দুই ফুল ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদানের হিড়িক

Jalpaiguri: শনিবার মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ধুপঝোরার পশ্চিমপাড়ায় প্রায় ৪২টি পরিবার লাল পতাকা হাতে নেন।

CPIM Joining: উত্তরবঙ্গে উলটপুরাণ! দুই ফুল ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদানের হিড়িক
সিপিএম-এ যোগদান (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 11:08 AM

জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে কি রাজনীতির উল্টো স্রোত বইবে? সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে দুই শতাধিক তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীর সিপিএমে যোগদান যেন এই জল্পনাকেই উস্কে দিচ্ছে। মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি এলাকার রাজনীতি সরগরম এই উল্টো পুরাণ দেখেই। চল্লিশের উপর পরিবার ফুলের সঙ্গে ত্যাগ করে শনিবার। যদিও কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকের দাবি মিথ্যে কথা বলছে সিপিএম।

বিগত বেশ কয়েক বছরে রাজনৈতিক কর্মীদের দলবদল মানেই হয় তৃণমূল না হয় বিজেপি। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে তাই ‘ভেন্টিলেশনে’ চলে গিয়েছে রাজ্যের বাকি দুই বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম। এমতাবস্থায় তাদের দলে কি অভিযোজন খাটে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বড় কঠিন। কিন্তু উত্তরবঙ্গে এই ব্যতিক্রমী ঘটনাই রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

শনিবার মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ধুপঝোরার পশ্চিমপাড়ায় প্রায় ৪২টি পরিবার লাল পতাকা হাতে নেন। সব মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিএমে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের হাতে সিপিএমের পতাকা তুলে দেন সর্বভারতীয় কৃষক সভার মেটেলি থানার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও ছিলেন সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ রায়, জেলা কমিটির সদস্য রুনু ওরাও আব্দুল জব্বার, দীনেশ রায়। যোগদান প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তৃণমূলের কাজকর্মের প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই এদিন এত মানুষ একসঙ্গে লাল ঝান্ডা হাতে নিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগে পেশি শক্তির এই মানুষগুলোকে দলভুক্ত করেছিল শাসকদল তৃণমূল।’

অন্যদিকে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এ বিষয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাপন রায় বলেন, ‘সিপিএম মিথ্যে কথা বলছে। বিক্ষিপ্তভাবে দুই একটি পরিবার ভুল বুঝে সিপিএমে গিয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে আবার দলে ফেরাব।’ অন্যদিকে সিপিএমে যোগদানকারী সোনা পাটোয়ারী বলেন, ‘তৃণমূলের কাজকর্মে আমরা মোটেও সন্তুষ্ট নয়। আমরা সিপিএমের পুরনো দিনের কর্মী। আবার সিপিএমেই ফিরে এলাম। মাঝে তৃণমূলে অবশ্য গিয়েছিলাম।’