Jalpaiguri: ছাত্র ও শিক্ষকদের একাংশের বিক্ষোভে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ
Jalpaiguri: নতুন রুটিন চালুর দাবি নিয়ে গত বুধবার জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্সের একাংশ ছাত্র প্রিন্সিপাল ডক্টর সিদ্ধার্থ সরকারের চেম্বারে যান।
জলপাইগুড়ি: অসুস্থ হয়ে পড়লেন অধ্যক্ষ। অধ্যাপক ও একাংশ পড়ুয়াদের হেনস্থার জেরে অসুস্থ হয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হলেন কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ।
কী ঘটেছে?
নতুন রুটিন চালুর দাবি নিয়ে গত বুধবার জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্সের একাংশ ছাত্র প্রিন্সিপাল ডক্টর সিদ্ধার্থ সরকারের চেম্বারে যান। দাবি মেনে প্রিন্সিপাল নতুন রুটিনে সইও করে দেন।
প্রিন্সিপাল সেই দিন অভিযোগ করে বলেন, সেই সময় পড়ুয়াদের সঙ্গে চেম্বারে ঢুকে যায় কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, অশিক্ষিত কর্মীদের একাংশ। এরপর শুরু হয় তুমুল বাদানুবাদ। অভিযোগ, তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। এরপর তিনি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হন। পরে ওইদিন তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রিন্সিপালের স্ত্রী এষা সরকার অভিযোগ করে বলেন, সেদিনের ঘটনা আমি সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল চেম্বারে। এই ঘটনার পর থেকে আমার স্বামী শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে থেকে ওষুধ খাচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতভর তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলেন। বাধ্য হয়ে শনিবার সকালে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করি আমি।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘সেইদিনের ঘটনার তদন্ত হোক। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।’
ঘটনায় কলেজের অধ্যাপক মানিক আইচ সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সেদিনের ঘটনার পর কলেজে পুলিশ এসেছিল। যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকতো তবে পুলিশ নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নিত। একদিকে উনি অসুস্থ বলছেন। আবার উনি কলেজের হোয়াটস এপ গ্রুপে রাত তিনটে নাগাদ ম্যাসেজ করছেন। এটা কেমন অসুস্থতা?’ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রিন্সিপালের স্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন ‘আমার স্ত্রীও অভিযোগ করতে পারে তার স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।’