Jalpaiguri: চালের বস্তার আড়ালে বহুমূল্য কাঠ পাচারের ছক, পাচারকারীদের প্ল্যান ভেস্তে দিল টিম সঞ্জয় দত্ত
Jalpaiguri: এত নজরদারি সত্বেও কেন পাচারকারীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো যাচ্ছে না সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। প্রশ্ন উঠছে বনবিভাগের ভূমিকা নিয়েও।
জলপাইগুড়ি: চাল, আদা,তুষ এই তিন সামগ্রীকে কাজে লাগিয়ে পাচার হচ্ছিল কাঠ (Timber Trafficking)। দীর্ঘদিন থেকে একই কায়দায় পাচারের কাজ চললেও কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিল না পাচারকারীদের। তবে শেষ পর্যন্ত বন দফতরের (Forest Department) অভিযানে মিলল সাফল্য। সূত্রের খবর, চাল,আদা,তুষের বস্তার আড়ালে পাচার হচ্ছিল বার্মা টিক। বন দফতর সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে বেলাকোবা রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে ৩১ নং জাতীয় সড়কের করতোয়া এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করা হয়। এই অভিযান চলাকালীন ট্রাক বোঝাই চালের বস্তার আড়ালে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের বার্মা টিক (সেগুন কাঠ) উদ্ধার হয় বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যেই ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতের নাম রিয়াজুদ্দিন আনসারি। সে বিহারের বাসিন্দা বলে খবর। ধৃতকে আগামীকাল জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। তবে এ ঘটনা নতুন নয়। এই নিয়ে গত দু মাসে কয়েক দফায় প্রায় দু কোটি কোটি টাকার বার্মা টিক উদ্ধার করল বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের কর্মীরা। ঘন ঘন মূল্যবান কাঠ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বন ও পরিবেশ কর্মী মহলে। এদিকে এত নজরদারি সত্বেও কেন পাচারকারীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো যাচ্ছে না সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। প্রশ্ন উঠছে বনবিভাগের ভূমিকা নিয়েও।
তবে শুধু সেগুন কাঠ নয়, উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার আসছিল লাল চন্দনকাঠ পাচারের অভিযোগ। কিছুদিন আগে কোচবিহার থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর লাল চন্দন কাঠ। যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার উপরে বলে জানা যাচ্ছে। গ্রেফতারও করা হয় দুজনকে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করেও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বনকর্মীদের মধ্যে। এদিকে এরমধ্যে এবার সেগুন কাঠ পাচারের কথা সামনে আসাতেও নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। সব পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে যে বন বিভাগেক নজরদারি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।