Dhupguri: আমার সঙ্গেই বিয়ে দিতে হবে, সকাল থেকে প্রেমিকার বাড়ির সামনে বসে যুবক

Dhupguri: ধূপগুড়ি পুর এলাকায় সোমবার সকালে এসে ধরনায় বসেন ওই যুবক। তাঁর দাবি, ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর ছ' বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।

Dhupguri: আমার সঙ্গেই বিয়ে দিতে হবে, সকাল থেকে প্রেমিকার বাড়ির সামনে বসে যুবক
প্রেমিকার বাড়ির সামনে অবস্থানে যুবক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 9:12 PM

জলপাইগুড়ি: মিয়া বিবি রাজি। কিন্তু বেঁকে বসেছেন কাজি, মানে মেয়ের বাবা। কিছুতেই প্রেমিকের হাতে মেয়েকে তুলে দেবেন না তিনি। এদিকে ছেলেও নাছোড়। ছ’ সাত বছরের প্রেম এভাবে ভেসে যেতে দিতে নারাজ তিনিও। এরপরই সোমবার সকালে মেয়ের বাড়ির দরজায় এসে অবস্থানে বসে পড়েন ওই যুবক। এমন দৃশ্য দেখে তো মেয়ের বাড়ির সামনে ভেঙে পড়ে গোটা পাড়া। খবর পেয়ে ছুটে আসেন যুবকের পরিচিতরাও। এই ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে যায় ধূপগুড়িতে। যদিও মেয়ের বাবার বক্তব্য, মেয়ে যদি এই ছেলের সঙ্গে যায়, তা হলে কোনওদিন তিনি আর মেয়ের মুখ দর্শন করবেন না।

ধূপগুড়ি পুর এলাকায় সোমবার সকালে এসে ধরনায় বসেন ওই যুবক। তাঁর দাবি, ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর ছ’ বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের দু’জনের মধ্যে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ হয়। ওই যুবকের বাড়ি পাশের গ্রামেই। সোমবার সকালেও দু’জনের কথা হয়। যুবকের দাবি, মেয়েটি তাঁকে বলেন, বাড়ির লোককে বুঝিয়ে নিয়ে যেতে। এমনকী মেয়েটি জানান, অন্য জায়গায় তাঁকে বিয়ে দিতে চাইছে বাড়ির লোকেরা। এরপরই যুবক এসে হাজির হন প্রেমিকার বাড়িতে। বিয়ের কথা বলতে চান।

ওই যুবকের কথায়, “ওরা মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চাইছে। অথচ মেয়ে আমাকে ফোনে বলেছে আমার সঙ্গেই থাকতে চায়। তাই ধরনায় বসেছি। ওরা রাজি হলেই আমি উঠে যাব। আজই যদি বিয়ে দিয়ে দেয় বা রেজিস্ট্রি করে নেয় আমি চলে যাব। এখনও পর্যন্ত আমাকে বলেনি মেয়েকে বিয়ে দেবে। বাধ্য হয়ে আমাকে এভাবে রাস্তায় এসে বসতে হয়েছে। এতদিনের প্রেম, আমি এসব কেন মানব?” ওই যুবকের দাবি, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে তাঁর মা, বাবা এসেছিলেন। পঞ্চায়েত সদস্যরাও এসেছিল। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। এরপর এদিন ওই যুবক নিজে কথা বলতে আসেন। তাতেই তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মেয়ের বাড়ির লোকজন বের করে দেন বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে মেয়ের বাবা বলেন, কাউকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়নি। মেয়ের দাদা বলেছেন, চলে যেতে। মেয়েটির বাবা বলেন, “ওদের কবে থেকে পরিচয়, কী সম্পর্ক কিছুই জানি না। ছেলেটা সকাল থেকে এসে বসে আছে। এখন আমার মেয়েকে চায়। প্রথমে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বলল জানে না কিছু। এখন আবার বলছে মেয়ে চলে যাবে। আমিও বলেছি, গেলে চলে যায় যেন। কোনও সম্পর্ক রাখব না আমরা।”