Arrested by STF: সাদামাটা মুখ, শান্ত চাহুনি, তবু গোয়েন্দাদের চোখ এড়াল না আসল চেহারা… বড়সড় ছক বানচাল

KLO: গত এক বছরে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও-র কার্যকলাপ।

Arrested by STF: সাদামাটা মুখ, শান্ত চাহুনি, তবু গোয়েন্দাদের চোখ এড়াল না আসল চেহারা... বড়সড় ছক বানচাল
ধৃতকে এদিন আদালতে তোলা হয়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 7:52 PM

দার্জিলিং: ইন্দো-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও (KLO) জঙ্গি সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরবঙ্গ শাখার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। রবিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। খড়িবাড়ি এলাকার দেবীগঞ্জ থেকে ধনকুমার বর্মন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধনকুমার কেএলও প্রধান জীবন সিংহের ঘনিষ্ট বলে জানা গিয়েছে। ধৃতের বাড়ি কোচবিহারের বক্সিরহাটে। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে নকশালবাড়ি থেকে কেএলও লিঙ্কম্যান সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধনকুমারের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ। হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই যুবককে। ধনকুমারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে। সোমবার তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে জেরা করতে চাইছে পুলিশ।

গত এক বছরে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও-র কার্যকলাপ। উত্তরবঙ্গের কোচ রাজবংশী জনজাতির মানুষকে নিয়ে তৈরি এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জীবন সিংয়ের নেতৃত্বে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলেই সূত্রের দাবি। এক বছরের মধ্যে জীবন সিংয়ের একাধিক ভিডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে। এমনও একটি ভিডিয়োর কথাও গত বছর শোনা গিয়েছিল, যেখানে জীবন সিংয়ের লিখিত বিবৃতি পাঠ করছিলেন পাভেল কোচ নামে এক যুবক। সেই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, তাঁরা উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলা, নেপালের কিছু অংশ, বিহারের কিষানগঞ্জ সংলগ্ন কিছু অংশ, অসমের বেশ কিছু এলাকা, মেঘালয়ের বেশ কিছু এলাকা ও বাংলাদেশের রংপুর এলাকা নিয়ে স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। যা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে। যদিও সে ভিডিয়োর সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে বিএসএফের তরফে বলা হয়েছিল, কেএলওর সক্রিয়তার কোনও খবর তাদের কাছে নেই।

এসবের মধ্যেই দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হওয়া ধনকুমার সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন এসটিএফ কর্তা। ডেপুটি পুলিশ সুপার (এসটিএফ পশ্চিমবঙ্গ শিলিগুড়ি) সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “ধনকুমার বর্মনের বাড়ি কোচবিহারের বক্সিরহাট থানা এলাকায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ধনকুমার নাগাল্যান্ডে গিয়েছিল। সেখানে কেএলও ক্যাম্পে ছিল। প্রশিক্ষণও করে এসেছে। জীবন সিংয়ের নির্দেশে নেপালে যাচ্ছিল গা ঢাকা দেওয়ার জন্য।” এসটিএফ কর্তার কথায়, “এই এলাকায় কিছু নতুন নিয়োগ এবং সংগঠনের কাজের জন্য ওকে পাঠাচ্ছিল। এখানে আমরা গোপন সূত্রে খবর পাই। রবিবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জে ভদ্রপুর সীমান্তে ওকে ধরি।”

ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। সুদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, “ধনকুমার একদম সক্রিয় জঙ্গি। এর আগেও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা একই দলের। এদের সামনে রেখেই অস্ত্রের জোর দেখিয়ে জীবন সিং বলেছে পৃথক কামতাপুর গড়বে। সেই স্বপ্নে এরা অর্থ সংগ্রহ করছে, অস্ত্র সংগ্রহ করছে। এসব জীবন সিংয়ের নির্দেশেই।” তিনি জানান, ধনকুমার যে কেএলও প্রধানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন সে সংক্রান্ত বেশ কিছু অডিয়ো তাঁদের হাতে এসেছে।