Jalpaiguri Wildlife Rescued: তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে মিশে ছিলেন, বাসের পিছনের সিটে বসে তাকিয়ে ছিলেন বাইরে…চেকপোস্টে গাড়ি থামতেই জানা গেল আসল পরিচয়
Jalpaiguri Wildlife Rescued: বাসের পিছনের দিকে সিটের নীচেই রাখা ছিল তিনটি খাঁচা। তাতে ৪ টি বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী রাখা ছিল। কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল খাঁচাগুলি।
জলপাইগুড়ি: যাত্রীবোঝাই বাস। চেকিংয়ের জন্য দাঁড় করানো হয়েছিল বাসটিকে। পিছনের কোণের সিটে বসে থাকা যাত্রী তখন জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে। সাদা পোশাকের পুলিশ তাঁর সামনে গিয়েই দাঁড়ান। খাঁচাটা রাখা ছিল সিটের নীচেই। বাকি যাত্রীরা তখনও বিষয়টা বুঝতেই পারেননি। পুলিশ যখন খাঁচাটা বার করেন, তখন ফাঁস হয় আসল বিষয়টি। খাঁচার মধ্যে মুখ গুঁজে ছিল বিদেশি লেঙ্গুর-সহ চারটি বন্যপ্রাণী। জানা যায়, মায়ানমার থেকে নেপালে পাচার হচ্ছিল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বিদেশি লেঙ্গুর। অভিযান চালিয়ে ধরে এক বন্যপ্রাণী পাচারকারীকে গ্রেফতার করলেন কাস্টমস আধিকারিকেরা। জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়িতে চাঞ্চল্য। এবার একটি তীর্থ যাত্রী বোঝাই বাস থেকে বন্যপ্রাণীগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কাস্টমস আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল বার্মা-মায়ানমার থেকে নেপালে কিছু বন্যপ্রাণী পাচার করা হবে। সেই মোতাবেক ময়নাগুড়ি ৩১ নং জাতীয় সড়কে ফাঁদ পেতে বসেছিল কাস্টমস আধিকারিকেরা। একটি তীর্থযাত্রী বোঝাই বাস সোমবার ভোর রাতে ময়নাগুড়়ির চেকপোস্টের কাছে আসে। সেই সময় বাস থামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন আধিকারিকরা।
বাসের পিছনের দিকে সিটের নীচেই রাখা ছিল তিনটি খাঁচা। তাতে ৪ টি বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী রাখা ছিল। কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল খাঁচাগুলি। যার মধ্যে একটি গোল্ডেন লেঙ্গুর রয়েছে বলে খবর। মোটা টাকায় বিক্রি হচ্ছিল লেঙ্গুরটি।
ফুলবাড়ি কাস্টমস অফিসার রবীন্দ্র জাখোড় জানান, বাসটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নেপাল সীমান্তে। সেখানে তীর্থ যাত্রীদের ছেড়ে দিয়ে বাসটিকে ফুলবাড়ি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেয় বনদফতরকে। এরপর বনকর্মীরা গিয়ে সেগুলিকে উদ্ধার করেন।
বন্যপ্রাণীগুলিকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় একটি চক্র কাজ করছে। এলাকার আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।