Jalpaiguri Physical Harrassment Case: রান্নাঘরে ভাইয়ের বউকে জাপটে ধরেন ভাসুর, সেই সন্ধ্যার পর বেপাত্তা, কেরলে তাঁকে যে অবস্থায় দেখা গেল
Jalpaiguri Physical Harrassment Case: ২০২১ সালের জুলাই মাসে ধূপগুড়ি থানায় এক গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, তাঁর ভাসুর তাঁকে ফাঁকা ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেছেন।
জলপাইগুড়ি: সালটা ২০২১। অভিশপ্ত সেই সন্ধ্যায় বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। ভাসুর চা খাওয়ার নাম করে ঘরে ঢুকেছিলেন। রান্নাঘরে যখন চা করছিলেন, তখন আচমকাই পিছন থেকে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ভাসুর। সামনে উনুন, সেখান থেকে কোনওভাবে ঠেলে সরিয়ে সরলেও, ভাসুরের লালসার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি গৃহবধূ। তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। থানাতে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু তারপর থেকেই বেপাত্তা। এক বছর পর কেরল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
২০২১ সালের জুলাই মাসে ধূপগুড়ি থানায় এক গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, তাঁর ভাসুর তাঁকে ফাঁকা ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্তকে ধরা যায়নি। কিন্তু তদন্ত জারি রেখেছিল পুলিশ।
জানা যায়, রাজ্য ছেড়ে কেরলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশের দল কেরলে রাজ্যের কেনিচিড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় হানা দেয়। পুলিশের সেই দলে ছিলেন এসআই ভবেস সুব্বা, শঙ্কর রায় । চার জনের দল নজর রাখে অভিযুক্তের ওপর। রবিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
চলতি মাসের ৪ তারিখ অভিযুক্তকে কেরলের কেনিচিড়া থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রবিবার ধূপগুড়িতে নিয়ে আসা হয়। সোমবার তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পেরে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ধূপগুড়ির পুলিশ আধিকারিকরা।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৭৬ এবং ৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, কেরলে একটি ঝুপড়ি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন অভিযুক্ত। সেখানে ছোটো কাজও জুটিয়ে নিয়েছিলেন। অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।