North Bengal University: সরকারি জমিতে তৈরি হবে বেসরকারি কলেজ? উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিতর্কে কী বলছেন ওমপ্রকাশ?

North Bengal University: কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিক্রি নিয়ে যে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে তা পুরোপুরিভাবে ভিত্তিহীন। যার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

North Bengal University: সরকারি জমিতে তৈরি হবে বেসরকারি কলেজ? উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিতর্কে কী বলছেন ওমপ্রকাশ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 10:04 PM

জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যাচ্ছে। সক্রিয় রয়েছে একটি চক্র। এই অভিযোগ উঠতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের ছাত্রছাত্রীরা। একদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে মিছিল করে  বিক্ষোভ দেখায় স্টুডেন্ট ইউনিটি নামে একটি ছাত্র সংগঠন। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ একর জমি কোনও ভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যাবেনা। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকে (Om Prakash Mishra)। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে বিতর্কের আবহে ধোঁয়াশা কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। 

কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিক্রি নিয়ে যে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে, যা পুরোপুরিভাবে ভিত্তিহীন। যার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও জমি বিক্রি বা কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ৫ একর জমির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ একর জমি নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে একটি টি এস্টেটকে ৫৫ একর জমি দেওয়া হয়। যা ফেরানোর বিষয় নিয়ে টানাপোড়েন চলছে আদালতে। সূত্রের খবর, এই ৫৫ একর জমি টি-এস্টেটকে লিজে দেওয়া হয়েছিল। লিজের মেয়াদ শেষ হলেও তা এখন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। যা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। 

কী বলছেন ওমপ্রকাশ? 

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জলপাইগুড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “ওই জমি আমি পুনরুদ্ধার করব। আমি মাত্র ৫৪ দিন হল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজে যোগ দিয়ে জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ একর জমি এক চা বাগানের হাতে চলে গিয়েছে। যা আমি পুনরুদ্ধার করব।” 

আসল টানাপোড়েন কোথায়? 

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্টেট ইন্সটিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্যাটারিং টেকনোলজির আওতাতে চলবে কোর্সের পাঠ্যক্রম। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ একর জমি নেওয়া হবে। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন,সরকার কাউকে জমি দিতে চাইলে নিজেদের ভেস্ট ল্যান্ড দিক আপত্তি নেই। স্বশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমি কেন দিতে হবে? কেনই বা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে? একইসঙ্গে তাঁদের আরও দাবি, দানে পাওয়া জমির ক্ষেত্রে শর্তই ছিল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে। এখন তালে কেন তাহলে হাতবদল? সরকার ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান গড়তে চাইলে ফান্ডিং করা হোক ইউনিভার্সিটিকে। কেন তা না করে নিজেদের কোটি কোটি টাকার জমি সরকার নিয়ে তা দুর্গাপূরের এক সংস্থাকে দেবে? বিক্ষোভকারীদের অনেকেই বলছেন, আসলে সরকারি ইউনিভার্সিটি সামনে রেখে বিপুল টাকা কোর্স ফি রেখে মুনাফা কামাতে চাইছে বেসরকারি সংস্থা। আশঙ্কা, সেখানে সরকারি জমি নিয়ে যে ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে সেখানে বিপুল টাকা কোর্স ফি গুনতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।