চেম্বার খোলা, ‘বেপাত্তা’ চিকিৎসক! নাকাল রোগীরা

ধূপগুড়ি স্বাস্থ্য দফতরের অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ যেন রোজনামচা। ছুটির জন্য আবেদন করার বালাই নেই। ইচ্ছে হলেই অনুপস্থিত থাকছেন একমাত্র চিকিৎসক।

চেম্বার খোলা, 'বেপাত্তা' চিকিৎসক! নাকাল রোগীরা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 10:40 PM

জলপাইগুড়ি: ছুটি না নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঁচ দিন ধরে অনুপস্থিত একমাত্র চিকিৎসক। পরিষেবা না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের। করোনা আবহে চিকিৎসকরা যখন দিনরাত লড়াই করে যাচ্ছেন ঠিক তখনই আরেক চিকিৎসক দফতর থেকে ছুটি না নিয়েই ‘বেপাত্তা’। এদিকে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে খবর নেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও!

ধূপগুড়ি স্বাস্থ্য দফতরের অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গত ২ জুন থেকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক দেবাশীষ দাস আসছেন না বলে অভিযোগ রোগী ও রোগী পরিজনদের। রোজ তাঁরা পরিষেবার জন্য আসেন আর ডাক্তারবাবুর দেখা না পেয়ে ফিরে যান। কিন্তু কী কারণে ডাক্তারবাবু অনুপস্থিত জানেন না তাঁরা। জবাব মেলে না কারও কাছে। এমনকি খবর নেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও! এদিকে চিকিৎসক না আসায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পড়েছেন বিস্তীর্ণ এলাকার রোগীরা।

যদিও এটাই প্রথম নয়। ধূপগুড়ি স্বাস্থ্য দফতরের অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ যেন রোজনামচা। ছুটির জন্য আবেদন করার বালাই নেই। ইচ্ছে হলেই অনুপস্থিত থাকছেন একমাত্র চিকিৎসক। এক গর্ভবতী মহিলা পূর্ণিমা মহন্তের অভিযোগ, বিগত তিন দিন ঘুরেও তিনি চিকিৎসকের দেখা পাননি। স্থানীয়দের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসককে বদলি করে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ফেরানো হোক।

এদিকে অনুপস্থিতির কারণ জানার জন্য ওই চিকিৎসককে ফোন করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি বসে মাইনে নিতে ‘লজ্জা’, করোনা আবহে অ্যাম্বুল্যান্স দান শিক্ষিকার 

এ বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরোজিৎ ঘোষ জানান, ওই চিকিৎসকের ছুটিতে থাকার বিষয় তিনি জানেন না। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।