আহত দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের মুখে মমতা
সেখানে যাওয়ার পথেও বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় মমতাকে। তাঁর গাড়ির সামনেই 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দেওয়া হয়। যদিও এ বার তাতে বিশেষ কর্ণপাত দেখা করতে যায়নি তাঁকে।
পূর্ব মেদিনীপুর: দিনভর প্রচার শেষে মঙ্গলবার বিকেলে বলরামপুরের আহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পথেও বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। মমতার গাড়ির সামনেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া হয়। যদিও এ বার তাতে বিশেষ কর্ণপাত দেখা করতে যায়নি তাঁকে।
আজ বিকেলে নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ার মোড়ে শেষ দফার প্রচার ছিল মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা চলাকালীন নেত্রী খবর পান, বলরামপুরের তৃণমূল কর্মী রবি মান্না যিনি দিন চারেক আগে বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ ওই কর্মীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তিনি কোমায় রয়েছেন বলে খবর আসে। শুধু তাই নয়। বলরামপুর গ্রামে শেষ লগ্নে বিজেপি মিছিল করে সমস্ত তৃণমূলের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: টেপের সত্যতা স্বীকার মমতার, বললেন, ‘ভাইরাল করাটা অপরাধ’, পাল্টা প্রলয়ের দাবি, ‘ওটা দল করেছে’
এরপরই টেঙ্গুয়া থেকে বলরামপুর গ্রামের ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ির পথে যাত্রা করেন মমতা। রবি মান্নার বাড়ি পৌঁছে তাঁর পরিবারে সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। সেই সময় ওই গ্রামে বিজেপির মিছিল চলছিল। মমতার গাড়ি দেখার পরই মুর্হুমুহু ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা শুরু হয় এবং শুভেন্দু অধিকারীর নামেও স্লোগান ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর এলাকা থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা এলাকার পাশাপাশি নন্দীগ্রাম জুড়ে বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।
আরও পড়ুন: ‘একটু চেষ্টা করি না…’ বলেই সভামঞ্চে আচমকা হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন! নন্দীগ্রামে মমতার বড় চমক