‘কীভাবে পড়েছিল গাড়ি, কতজন ছিল?’ ঝাড়গ্রামে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর তদন্তে সিবিআই

CBI: মৃত বিজেপি নেতার বাবা বিজয় মান্ডি জানান, কতজন ছেলের মৃত্যুর ঘটনমায় গ্রেফতার হয়েছে, তাঁরা এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে খুশি কিনা তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। তিনি জানান, তিনজনের গ্রেফতারির খবর পেয়েছেন। এর পর আর কোনও খবর মেলেনি।

'কীভাবে পড়েছিল গাড়ি, কতজন ছিল?' ঝাড়গ্রামে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর তদন্তে সিবিআই
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 8:07 PM

ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বাঁকুড়া: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)-র ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। সোমবার বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় গেল সিবিআই প্রতিনিধি দল। এদিন জামবনি থানার ভাউদিতে যায় সিবিআই-র একটি দল। সেখানে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।

ভোট পরবর্তী হিংসায় ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার ভাউদি-তে গত ৫ মে খুন হন এক বিজেপি কর্মী। কিশোর মান্ডি নামে সেই যুবকের মৃত্যুর তদন্তে এদিন বিকালে জামবনি থানার ভাওদি-তে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল। সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। এলাকাবাসী ও বাড়ির লোকের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। পরিবারের এক সদস্য জানান, সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, কোথায় মারা গিয়েছিলেন কিশোর, কে কে ছিলেন ঘটনাস্থলে সে সব জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।

মৃতের বাবা বিজয় মান্ডি জানান, কতজন ছেলের মৃত্যুর ঘটনমায় গ্রেফতার হয়েছে, তাঁরা এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে খুশি কিনা তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। তিনি জানান, তিনজনের গ্রেফতারির খবর পেয়েছেন। এর পর আর কোনও খবর মেলেনি। সিবিআই তাঁদের বিচার পাইয়ে দেবেন বলে আশাবাদী বিজয়বাবু।

প্রসঙ্গত, গত ২ মে ভোটের ফল বেরনোর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঝাড়গ্রামের জামবনি। সেখানে বিজেপি মণ্ডলের কিষান মোর্চার মণ্ডল সম্পাদককে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত ভাদুই গ্রামের বাসিন্দা। নাম কিশোর মান্ডী। গত ৫ মে এলকার মহুয়া চকের কাছে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় ওই যুবককে। এর পর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। পরে মৃতের পরিবার থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। দুবড়া পঞ্চায়েত প্রধান সহ -৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হয় মোট তিনজন। বাকি তিনজন পলাতক। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এদিন সিবিআই-এর দল তদন্তের পুনঃনির্মাণে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

এদিকে এদিনই ভোট পরবর্তী হিংসায় কোতুলপুর থানার অন্তর্গত রায়বাঘিনী গ্রামে যায় সিবিআই-এর একটি প্রতিনিধি দল। বিজেপি যুবনেতা মিতাকুশ ক্ষেত্রপালের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তাঁরা। সেসময় বাড়ির বাইরের কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। পরে সাংবাদিকদেরও তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। সূত্রের খবর, বিজেপির যুব নেতা মিতাকুশ ক্ষেত্রপাল যে হোটেলে কাজ করতেন সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলে সিবিআই।

রবিবারের পর সোমবারও বীরভূমে যায় সিবিআই। এদিন শান্তিনিকেতন থানায় ৯ সদস্যের একটি দল আসে। নানুর বিধানসভার অন্তর্গত উত্তর নারায়ণপুর গ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে শান্তিনিকেতন থানায় আসে সিবিআই-র একটি টিম। শান্তিনিকেতন থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেও তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আরও পড়ুন: ‘পুলিশ অভিযোগই নেয়নি,’ সিবিআই-র কাছে বিচার চাইল হাওড়ার ৩ বিজেপি কর্মীর পরিবার