Jhargram School: ঝুলছে চাঙর, স্কুলে পড়ে মদের বোতল, শিক্ষাঙ্গনের অবস্থা দেখুন…
Jhargram School: জানা গিয়েছে,বিদ্যালয় ঢোকার মুখেই কাদা জমা রাস্তা রয়েছে। যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের। অভিভাবকরা জানান, বৃষ্টির দিনে এক হাঁটু কাদা জমে থাকে। ফলে স্কুলে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। স্কুলের রাস্তাটি নিয়ে একাধিকবার অভিভাবকরা প্রশাসনকে জানালেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামের একটি স্কুল। যা দেখলে বাইরে থেকেই ভয় লাগতে পারে। বিল্ডিংটির চারিদিকে ফাটল। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে সেটি। পাশাপাশি স্কুল লাগোয়া পুকুরের কচুরিপানায় ঢেকেছে স্কুল। ফলে মশার উপদ্রব থেকে রেহাই নেই পড়ুয়াদের। এত সমস্যার পরেও হুস নেই পরিচালন কমিটি থেকে প্রশাসনের। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বনডাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।
জানা গিয়েছে,বিদ্যালয় ঢোকার মুখেই কাদা জমা রাস্তা রয়েছে। যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের। অভিভাবকরা জানান, বৃষ্টির দিনে এক হাঁটু কাদা জমে থাকে। ফলে স্কুলে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। স্কুলের রাস্তাটি নিয়ে একাধিকবার অভিভাবকরা প্রশাসনকে জানালেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ২২১ জন ছাত্রছাত্রী পড়ে। তারপরেও এমন দশা কেন প্রশ্ন তুলছেন অভিবাবকরা। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে স্কুলের ক্লাস রুমের ভিতরে ভাঙা সিলিং,দেওয়াল। যে কোনও সময় সিলিং পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। যার ফলে ক্লাসরুম বদলে অন্য জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের বসিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়াগড়ি খাচ্ছে মদের বোতল,গ্লাস,চিপসের প্যাকেট! ফলে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। খারাপ প্রভাব পড়ছে শিশুর মনে। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। ডিপিএসসি ঝাড়গ্রামের চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা বলেন, “যদি মদের বোতল পড়ে থাকে আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে দ্রুত। আর চাঙর খসে পড়ার ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কথা বলছি।”