Malda: স্বাস্থ্যসাথী থেকেও লাভ কী? সরকারি হাসপাতাল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল ক্যানসার রোগীকে

Hospital: ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল হাসপাতাল থেকে ওই মুমুর্ষ রোগীকে। কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

Malda: স্বাস্থ্যসাথী থেকেও লাভ কী? সরকারি হাসপাতাল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল ক্যানসার রোগীকে
ক্যানসার আক্রান্ত সাবিরুল ইসলাম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 7:37 PM

মালদা: শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যানসার। দিনের পর দিন কঠীণ অসুখে ভুগছেন তিনি। এদিকে আবার পরিবারে আর্থিক সংকট। যার দু’বেলা খাবারই জোটে না, সে কীভাবে চিকিৎসা করাবে এই মারণ অসুখের? কিন্তু এই প্রতিকূলতা ছেড়েও বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি। তার জন্য ভরসা ছিল একমাত্র স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। তাতেও লাভ হল না কিছু। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল হাসপাতাল থেকে ওই মুমুর্ষ রোগীকে। কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

মালদার হরিশচন্দ্র পুরের বাসিন্দা সাবিরুল ইসলাম। বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। প্রায় এক বছর ধরে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। শেষ ‌সম্বল ছয় কাঠা জমি বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচ জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি পরিবারের।তাই স্বামীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টায় আর্থিক সাহায্যের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন স্ত্রী দুলেরা খাতুন। এলাকার জন প্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার দরবার করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই।

অনেক কষ্ট করে কিছু অর্থ জোগাড় করেছিলেন সাবিরুলের পরিবার। সেই অর্থে কলকাতা-ব্যঙ্গালোরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ডাক্তারবাবুরা দ্রুত অপারেশন করার কথা জানিয়েছেন। তার জন্য লাগবে পাঁচ লাখ টাকা। মাথায় হাত পরিবারের। কোথায় পাবেন এত টাকা?

অভিযোগ, এরপরই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে কলকাতার চিত্ত রঞ্জন হাসপাতালে যান তাঁরা। কিন্তু সেই কার্ড দেখিয়ে কোনও চিকিৎসা পাননি উলটে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিহারের কাটিহারে গিয়ে সাময়িক চিকিৎসা করে ফিরে আসেন তাঁরা। তীব্র যন্ত্রণার পাশাপাশি অর্ধাহারে কাটছে দিন কাটছে তাঁদের। এখন সাবিরুলের পরিবারের অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রী যেন চিকিৎসার বিষয়ে তাঁদের সাহায্য করেন।

স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ভোক্তা রোগীকে ফেরাতে পারবে না কোনও হাসপাতাল। রোগীকে ফেরানো হলে বাতিল হতে পারে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স। কিন্তু তারপরেও কেন রোগীকে ফেরানো হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

কয়েকমাস আগে আলিপুরদুয়ারের টিউমরের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন সুমুরঞ্জন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিত্‍সা হয়নি। সম্প্রতি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেও পরিষেবা মেলেনি বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বেসরকারি নার্সিং হোম গুলিতে চিকিৎসার জন্য আবেদন জানিয়ে আসার পরেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সুমুরঞ্জনবাবু জানিয়েছিলেন, ‘দুয়ারে সরকারের’ শিবিরের আগেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্য়মে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়ে ও এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা মেলেনি। চিকিত্‍সা না মিললে অনশন করে ‘আত্মহত্যা’ করার হুমকিও দেন ওই রোগী।

ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ওই রোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুদীপ চক্রবর্তী এদিন জানান, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কেন ওই রোগী চিকিত্‍সা পাননি তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি দ্রুত যাতে ওই ব্যক্তি চিকিত্‍সা পান তার ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: Ghatal Flood Situation: পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই, আজ ঘাটালে যেতে পারেন দেব