University of Gour Banga: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার! ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ গৌড়বঙ্গে
Malda: রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্দেশ না মেনেই চুপি-চুপি নয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
মালদা: নাহ! কিছুতেই যেন দুর্নীতি পিছু ছাড়ছে না গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (Gour Banga University) থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্বেও দুর্নীতির অভিযোগ। বাতিল হল নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক।
কী ঘটেছে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। রাতারাতি বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।
একসঙ্গে নয় জনকে নিয়োগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার মধ্যে শিক্ষক ও আধিকারিকরাও রয়েছে। এবার এই নিয়োগ নিয়ে বড় দুর্নীতির অভিযোগ। সব থেকে বড় বিষয় হল, নিয়োগের আগেই এমন কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর চিঠি দিয়ে জানায়। তবুও সেই চিঠির নির্দেশ না মেনে, রাতারাতি গোপনে ৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পরে সেই বিষয় জানতে পেরে ক্ষুব্ধ উচ্চ শিক্ষা দফতর রিপোর্ট তলব করে চিঠি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি টিভি ৯ বাংলা প্রকাশ্যে আনে। এরপরেই জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপাচার্য শান্তি ছেত্রিকে সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চান। দ্রুত রিপোর্টও তলব করেন তিনি। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বৈঠকের ঠিক আগের রাতে তা বাতিল করে দেওয়া হয় করোর অঙ্গুলি হেলনে। আর এরপরেই চরম বিরম্বনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য শান্তি ছেত্রি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই একটি শ্রেণি বার বার চেষ্টা চালাচ্ছে সমস্যা তৈরির। যা সুস্থ শিক্ষার পরিবেশে বাধা তৈরি করছে।
বুধবার মালদহ জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চাঞ্চল্যকর এক কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উঠে এল গৌঢ়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে অনিয়মের অভিযোগের কথা। যা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিন ধরে ধরে বিডিও ও পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। তালিকা ধরে তাঁদের নাম ডেকে বিভিন্ন কাজের খতিয়ান নেন। এর মধ্যে কথা বলেন গৌঢ়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে। উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদসূচক সম্ভাষণ জানানোর পরই মমতার সটান প্রশ্ন , “আপনার ওখানে রিক্রুটমেন্ট কে করে?” উপাচার্য জানান তাঁরাই নিয়োগের কাজ করেন। সঙ্গে সঙ্গে মমতা বলেন, “আমি তো শুনছি রিক্রুটমেন্টের কাজ… কোনও এক ব্যক্তি সব রিক্রটমেন্ট করছে!” উপাচার্য না বলার পর মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দেন তাঁর কাছে এ নিয়ে ইনফর্মেশন আছে। তাই ক্রসচেক করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Chancellor Controversy: মুখ্যমন্ত্রী কি আচার্য হতে পারেন? কী বলছেন আইনজ্ঞরা, কী মত শিক্ষামহলের