TMC Leader: নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি, প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীদের মার তৃণমূল নেতার

Malda: যেখানে রাস্তা তৈরির নামে চলছিল মোটা টাকার দুর্নীতি।

TMC Leader: নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি, প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীদের মার তৃণমূল নেতার
মালদা রাস্তা তৈরি নিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2021 | 3:49 PM

মালদা: চলছে রাস্তা সারানোর কাজ। কিন্তু সমস্ত টুকু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। চলছিল মোটা টাকার দুর্নীতি। আর এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন গ্রামবাসী। কিন্তু হঠাৎ এ কি! মোটা কাঠ নিয়ে ধাওয়া করছেন তৃণমূল প্রধান। বেধড়ক পেটালেন গ্রামবাসীদের। নিস্তার পেলেন না অসহায় বৃদ্ধ।

মালদার (Malda) দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখান থেকেই এই ছবি ফুটে উঠেছে। দেখা গিয়েছে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করায় গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। যেখানে রাস্তা তৈরির নামে চলছিল মোটা টাকার দুর্নীতি। সেই রাস্তার কাজ পেয়েছেন আবার প্রধানের ভাইপো। এবার প্রতিবাদ করতেই গ্রামবাসীদের দিকে লাঠি নিয়ে ছুটে এলেন তৃণমূল ওই নেতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মারমুখী প্রধান মোবারক হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, আহত হয়েছেন বৃদ্ধ সহ কয়েকজন।

এই নিয়ে তৃণমূল প্রধান বলেন, “গ্রামবাসীরা রাস্তা তৈরির কাজে বাধা দিচ্ছিল। সামনে একজন বয়স্ক মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা এলাকায় যেতেই আমাদের ঢিল মারতে শুরু করেন তাঁরা। নিজেদের বাঁচাতেই ধাক্কা-ধাক্কা হয়।” এদিকে, ওই বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, “নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। প্রতিবাদ করেছিলাম।”

প্রসঙ্গত, দুর্নীতি নিয়ে মালদার নাম আজ প্রথম নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। রাতারাতি বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। একসঙ্গে নয় জনকে নিয়োগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার মধ্যে শিক্ষক ও আধিকারিকরাও রয়েছে। এবার এই নিয়োগ নিয়ে বড় দুর্নীতির অভিযোগ। সব থেকে বড় বিষয় হল, নিয়োগের আগেই এমন কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর চিঠি দিয়ে জানায়। তবুও সেই চিঠির নির্দেশ না মেনে, রাতারাতি গোপনে ৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

পরে সেই বিষয় জানতে পেরে ক্ষুব্ধ উচ্চ শিক্ষা দফতর রিপোর্ট তলব করে চিঠি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি টিভি ৯ বাংলা প্রকাশ্যে আনে। এরপরেই জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপাচার্য শান্তি ছেত্রিকে সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চান। দ্রুত রিপোর্টও তলব করেন তিনি। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বৈঠকের ঠিক আগের রাতে তা বাতিল করে দেওয়া হয় করোর অঙ্গুলি হেলনে। আর এরপরেই চরম বিরম্বনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য শান্তি ছেত্রি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই একটি শ্রেণি বার বার চেষ্টা চালাচ্ছে সমস্যা তৈরির। যা সুস্থ শিক্ষার পরিবেশে বাধা তৈরি করছে।

আরও পড়ুন: Deucha Pachami: প্রতিবাদ আরও জোরালো হচ্ছে দেউচা পাচামিতে, লাঠি-তির-ধনুক নিয়ে মিছিল আদিবাসী মহিলাদের