Migrant Worker Death: হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ, বাড়াচ্ছে রহস্য

Migrant Worker Death: গত তিন মাস আগে বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিলেন আসগর। কাজও চলছিল ভালই। সম্প্রতি সে যে বাড়ি আসছে সে কথা জানায় পরিবারের লোকজন। টিকিট কেটে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনেও ওঠেন। ট্রেনে ওঠার পর বাড়িতে কথাও হয়। কিন্তু, ওই শেষ। তারপর আর তাঁকে ফোনে ধরা যায়নি।

Migrant Worker Death: হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ, বাড়াচ্ছে রহস্য
শোকের ছায়া গোটা এলাকায়Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2023 | 2:37 PM

মালদহ: ট্রেনে ওঠার সময় ফোন করেছিলেন বাড়িতে। কথাও হয়েছিল। কিন্তু, তারপর বাড়ি থেকে একাধিকবার ফোন করা হলেও আর ফোন ধরেননি। চিন্তা বাড়তে থাকে পরিবারের সদস্যদের। শেষে হাওড়া স্টেশন থেকে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker) দেহ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভিন রাজ্য়ে কাজে গিয়ে বাংলার একাধিক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে মালদহেরই একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। একদিন আগেই কালিয়াচকে এসেছে একজনের দেহ। এবার ইংরেজবাজারের শোভানগরে গ্রাম পঞ্চায়েতের পিরপুর গ্রাম। এখানেই থাকতেন আসগার মোমিন।

গত তিন মাস আগে বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিলেন আসগর। কাজও চলছিল ভালই। সম্প্রতি সে যে বাড়ি আসছে সে কথা জানায় পরিবারের লোকজন। টিকিট কেটে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনেও ওঠেন। ট্রেনে ওঠার পর বাড়িতে কথাও হয়। কিন্তু, ওই শেষ। তারপর আর তাঁকে ফোনে ধরা যায়নি। বারংবার ফোনে ধরা হলেও তিনি ফোন তোলেননি বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। 

এরইমধ্যে মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশই তাঁর দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দেয়। কিন্তু, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ট্রেনেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আসগরের আনুমানিক বয়স ৩৪। পরিবারে আছে মা-বাবা, বোন ও দুই সন্তান। আসগরের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। শোকের আবহ গোটা গ্রামেও। কিন্তু, আসলেই কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পরিবারের সদস্যদের মনে। কিন্তু, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যুতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সকলের। কীভাবে এখন সংসারের ঘানি টানা হবে তা ভেবেই কোনও কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা। সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদনও করেছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রতিনিধি ফেকু মোমিন, শোভানগর অঞ্চল উপ প্রধান মজিবর রহমান,অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উমর ফারুক।