Maldah Physical harassment case: বাবাকে মিস করবে বলে বায়না করে মামাবাড়ি যায়নি, ফাঁকা ঘরে বছর বারোর মেয়েকেই লালসার শিকার বানালেন বাবা
Maldah Physical harassment case: প্রথমে স্বামীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেন। গ্রামে ততক্ষণে বিষয়টা চাউর হয়ে যায়। গ্রামবাসীরাও ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন।
মালদা: স্ত্রী বড় মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাবার কাছে থাকবে বলে বায়না করে বাড়িতে থেকে গিয়েছিল ছোটো মেয়েটা। বছর বারোর মেয়েটা নিজের ঘরেই হল নৃশংস, আচরণের শিকার। ভর সন্ধ্যায় নিজের ঘরে বাবার দ্বারাই নিগৃহীত হল সে। বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে সরগরম মালদার গাজোল এলাকা। মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পেশায় দিনমজুর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছেন তিনি। তাঁর অদ্ভুত যুক্তি, নেশার ঘোরেই এমনটা করে ফেলেছিলেন তিনি। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা নাবালিকার মা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটা গত রবিবারের। সকালেই বড় মেয়েকে নিয়ে পাশের গ্রামেই বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা। এক ছেলে ও ছোট মেয়ে বাড়িতেই ছিল। নির্যাতিতার মায়ের বয়ান অনুযায়ী, মেয়েই বাবার কাছে থেকে যাবে বলে বায়না করেছিল। তিনি আর বেশি জোর করেননি। সোমবারই ফেরার কথা ছিল তাঁর। ঘটনাটা ঘটে রবিবার সন্ধ্যায়।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তার ভাই ঘরে ছিল না। বাবা সন্ধ্যার পর ঘরে ঢোকেন। সেই সময় সে পড়ছিল। অভিযোগ, আচমকাই পিছন থেকে জাপটে ধরেন বাবা। তারপরই তার সঙ্গে ঘৃণ্য আচরণ করে বলে অভিযোগ। আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কোনওক্রমে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে প্রতিবেশীর ঘরে চলে যায় মেয়েটা। রবিবার রাতে প্রতিবেশীর মোবাইল থেকেই মাকে ফোন করে বাচ্চা মেয়েটা।
মায়ের কথায়, “মেয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছিল। কিছুই বলতে পারছিল না। পরে বলল ‘মা বাবাই…’ বলে ফোন কেটে দেয়। তখনও নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। সকালেই বাড়ি ফিরি।” সোমবার সকালে বড় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন নির্যাতিতার মা। তারপর মেয়ের কাছ থেকে সব শোনেন।
প্রথমে স্বামীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেন। গ্রামে ততক্ষণে বিষয়টা চাউর হয়ে যায়। গ্রামবাসীরাও ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। অভিযুক্তকে চেপে ধরেন সকলে। পরে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন অভিযুক্ত। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের সামনেও অভিযুক্ত স্বীকার করেন, নেশার ঘোরেই তিনি এমনটা করে ফেলেছেন।
গাজোল থানার পুলিশ নির্যাতিতাকে প্রথমে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মালদা মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে । সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছে না বাচ্চা মেয়েটা।