Maldah Pripary School:চুরি করায় শাসন করেছিলেন, ক্লাস চলাকালীন শিক্ষিকাকে ‘চুলের মুঠি ধরে থাপ্পড়’ অভিভাবকের
Maldah Pripary School: মানিকচক থানার দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা শিক্ষিকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মালদা: ‘ক্লাস’ চলছিল পুরোকদমে। ব্ল্যাক বোর্ডে লিখে পড়ুয়াদের পড়া বোঝাচ্ছিলেন শিক্ষিকা। ঠিক সে সময়েই হুড়মুড়িয়ে হইহই করতে করতে ঢুকে পড়েন কয়েকজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষিকার চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধর করা শুরু করেন তাঁরা। খুদে পড়ুয়ারা ভয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়। ‘অপরাধ’ তিনি ছাত্রকে শাসন করেছিলেন। আর সে কারণেই স্কুলে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠল ছাত্রের অভিভাবক ও পরিজনদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচকে। মানিকচক থানার দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা শিক্ষিকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের অফিস ঘরের ড্রয়ার থেকে খোওয়া যায় প্রায় ৭০০ টাকা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সন্দেহ হয়, তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। শিক্ষিকাদের দাবি, ছাত্রটিকে একটু চেপে ধরতেই চুরির কথা স্বীকার করে নেয় সে। স্কুলের টিআইসি চন্দন মিত্র ছাত্রটিকে শাসন করেন।
স্কুলের সহ শিক্ষিকা ওই ছাত্রটিকে শাসন করেন। স্কুলের বক্তব্য, এটাই ঘোর অপরাধ। আর এই অপরাধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, চুলের মুঠি ধরে মার খেতে হয় শিক্ষিকাকে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছুটির কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রের মা ও আরও কয়েকজন স্কুলে ঢুকে পড়েন। ওই শিক্ষিকা তখন ক্লাস নিচ্ছিলেন। একেবারে ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষিকার চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষক থানায় ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় মানিকচক থানার পুলিশ। যদিও ততক্ষণে চম্পট দেয় সকলে। যদিও ছাত্রের মায়ের বক্তব্য, “আমার ছেলে ৭০০ টাকা নয়, ২০ টাকা চুরি করেছিল। আবার দিয়েও দিয়েছে। তা বলে আমার ছেলেকে এমন করে মারল ওরা। তাই আমার লোকেরা গিয়েছিল। আমি ম্যাডামকে মারিনি।”
শিক্ষিকা বলেন, “আমি বাচ্চাটাকে শাসন করেছিলাম। স্কুলের ড্রয়ার থেকে টাকা চুরি গিয়েছে। ওকে মারতে স্বীকারও করে। কিন্তু ওর মা ও তার লোকেরা এসে আমার চুলের মুঠি ধরে গালে থাপ্পড় মারল।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।