প্লাস্টিকের গোডাউন দাউ দাউ করে জ্বলছে! পাশেই হাসপাতাল, রোগীদের সরানোর কাজ শুরু

Massive Fire: প্লাস্টিকের গুদাম হওয়ায় দাহ্য বস্তুর পরিমাণ সেখানে এতটাই বেশি যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে।

প্লাস্টিকের গোডাউন দাউ দাউ করে জ্বলছে! পাশেই হাসপাতাল, রোগীদের সরানোর কাজ শুরু
এভাবেই জ্বলছে প্লাস্টিকের গুদাম।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 11:34 PM

মালদহ: বেসরকারি হাসপাতালের পাশে প্লাস্টিকের গোডাউন। সেখানেই বিধ্বংসী আগুন লাগল রবিবার সন্ধ্যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। তবে প্লাস্টিকের গুদাম হওয়ায় প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত রয়েছে সেখানে। ফলে দাউ দাউ করে জ্বলছে গুদাম। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই খবরে। মালদহের কালিয়াচকের ঘটনা।

কালিয়াচকের সুজাপুরে এই প্লাস্টিকের গুদাম রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎই সেখানে কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রা দেখেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে গুদাম ঘর। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা প্রাথমিক ভাবে জল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও পরবর্তী কালে আরও কয়েকটি ইঞ্জিন আনা হচ্ছে।

সব থেকে বড় বিষয়, এই গুদামের পাশেই রয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। প্রচুর রোগী সেখানে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে যে ভাবে আগুন ছড়াচ্ছে তাতে বিপদ যে কোনও মুহূর্তে ভয়াবহতার রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কায় এলাকার লোকজন। রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

বেসরকারি হাসপাতালটি গুদামের একেবারে পাশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশও। কিন্তু প্লাস্টিকের গুদাম হওয়ায় দাহ্য বস্তুর পরিমাণ সেখানে এতটাই বেশি যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে। শুধু এই গুদামই নয়, আশেপাশে একাধিক প্লাস্টিকের কারখানাও রয়েছে। সেগুলিতেও আগুনের শিখা ছড়াচ্ছে।

শনিবারই ডানকুনিতে দিল্লি রোডের উপর একটি ব্যাটারি কারখানায় আগুন লাগে। বিধ্বংসী সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় চার ঘণ্টা লেগে যায়। সকাল ৯টা নাগাদ কারখানার কর্মীরা আগুন দেখতে পান। তাঁরাই প্রাথমিক ভাবে আগুন  নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু মুহূর্তে আগুন ভয়াবহ চেহারা নেয়। একের পর এক দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে এই আগুন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়। প্রথমে তিনটি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আনা হয় একটি হাইড্রলিক ল্যাডার ও আরও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর শুরু হয় ‘কুলিং প্রসেস’।

পাশাপাশি এদিনই তারাতলায় এফসিআই-এর একটি গোডাউনেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সেখানে বন্দরের বিভিন্ন সামগ্রী মজুত ছিল। সেই গোডাউনে প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। যে এলাকায় এই আগুন লাগে, তার আশেপাশে কোনও বাড়ি না থাকলেও শতাধিক গোডাউন থাকায় উদ্বেগ বাড়ে। রবিবারও সেখানে পকেট ফায়ার দেখা গিয়েছে। গত কয়েকদিনে হাওয়ার দাপট বেড়েছে। ফলে কোথাও আগুন লাগলে তা মুহূর্তে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। মালদহে রবিবারও সেই ছবিই দেখা গেল।

আরও পড়ুন: এ কোন বিপদ শিয়রে! শতাধিক শিশু জ্বরে কাবু, বাচ্চাদের ওয়ার্ডে বাড়ছে ভিড়