Photo Gallery: চোখের সামনে গঙ্গা নিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি! মালদহে ঘরছাড়া ২০০-র বেশি পরিবার

Malda: চোখের সামনে ভেঙে যাচ্ছে বসত ভিটে। চেয়ে দেখা ছাড়া কিচ্ছু করার নেই। আশ্রয়হীন ২০০-র বেশি পরিবার

| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 6:13 PM
মালদহ: নিজের মাথার ছাদ চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে। মালদহে (Maldah) নদী ভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারা হচ্ছেন বহু মানুষ। এখন তাঁদের মাথা গোঁজার মতো না আছে ঘর আর না আছে খাবার। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে উঠেছে মালদহ জেলার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর এলাকা।

মালদহ: নিজের মাথার ছাদ চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে। মালদহে (Maldah) নদী ভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারা হচ্ছেন বহু মানুষ। এখন তাঁদের মাথা গোঁজার মতো না আছে ঘর আর না আছে খাবার। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে উঠেছে মালদহ জেলার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর এলাকা।

1 / 5
প্রতি বছরের মতো গঙ্গা ভাঙন অব্যাহত বীরনগর-এর বিভিন্ন এলাকায়। বেশ কিছুদিন গঙ্গা ভাঙন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে ২০০-র বেশি ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। সেই গৃহহীন মানুষগুলো এখন কোথায় যাবেন, কী খাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। এখন যেভাবে গঙ্গা এগিয়ে আসছে তাতে আগেভাগে বাড়িঘর ছেড়ে অনেকে চলে যাচ্ছেন ভিন্ন আশ্রয়ের খোঁজে।

প্রতি বছরের মতো গঙ্গা ভাঙন অব্যাহত বীরনগর-এর বিভিন্ন এলাকায়। বেশ কিছুদিন গঙ্গা ভাঙন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে ২০০-র বেশি ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। সেই গৃহহীন মানুষগুলো এখন কোথায় যাবেন, কী খাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। এখন যেভাবে গঙ্গা এগিয়ে আসছে তাতে আগেভাগে বাড়িঘর ছেড়ে অনেকে চলে যাচ্ছেন ভিন্ন আশ্রয়ের খোঁজে।

2 / 5
কিছু মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বীরনগর হাই স্কুলে। কিন্তু সেখানেও ভাঙন আসার সঙ্কেত। তাই সেখান থেকেও মানুষ বেরিয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, ফুটপাতে কেউ বসে রয়েছেন। কেউ ছুটে যাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বীরনগরে।

কিছু মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বীরনগর হাই স্কুলে। কিন্তু সেখানেও ভাঙন আসার সঙ্কেত। তাই সেখান থেকেও মানুষ বেরিয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, ফুটপাতে কেউ বসে রয়েছেন। কেউ ছুটে যাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বীরনগরে।

3 / 5
স্থানীয় মানুষরা বলছেন, "আমরা বড় কষ্টে আছি। এখানে বহু মানুষ ভিড় করছেন গঙ্গা ভাঙন দেখতে। কিন্তু আমাদের ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে। আমাদের ঘরবাড়ি সর্বস্ব চলে যাচ্ছে এই গঙ্গাগর্ভে। আমরা আর পারছি না সহ্য করতে।'' দিন আনি দিন খাই এই মানুষগুলো কোনওরকম মাথাগোঁজার মতো ঘরবাড়ি তৈরি করেছিলেন গঙ্গার পাড় বরাবর এলাকায়। এখন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে পাশে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে এলাকাবাসী। বারবার গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাওয়া থেকে কবে রেহায় পাওয়া যাবে সেদিকে তাকিয়ে দিন গুনছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় মানুষরা বলছেন, "আমরা বড় কষ্টে আছি। এখানে বহু মানুষ ভিড় করছেন গঙ্গা ভাঙন দেখতে। কিন্তু আমাদের ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে। আমাদের ঘরবাড়ি সর্বস্ব চলে যাচ্ছে এই গঙ্গাগর্ভে। আমরা আর পারছি না সহ্য করতে।'' দিন আনি দিন খাই এই মানুষগুলো কোনওরকম মাথাগোঁজার মতো ঘরবাড়ি তৈরি করেছিলেন গঙ্গার পাড় বরাবর এলাকায়। এখন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে পাশে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে এলাকাবাসী। বারবার গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাওয়া থেকে কবে রেহায় পাওয়া যাবে সেদিকে তাকিয়ে দিন গুনছে এলাকাবাসী।

4 / 5
এদিকে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে কালিয়াচকের তিন নম্বর ব্লকে। গঙ্গার জল চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে সেখানে। হঠাৎ করে জল স্তর নামতে শুরু করার পর শুরু হয়ে যায় ভাঙন। বীরনগর গ্রামে গত রাত থেকে এ পর্যন্ত কয়েকশো মিটার জমি তলিয়ে গেছে। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন বহু মানুষ। নিজেরাই নিজেদের ঘর বাড়ি ভেঙে পালাচ্ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে এদিন এলাকায় ছুটে যান রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। প্রায় দেড় কিমি এলাকা জুড়ে এই ভাঙন প্রক্রিয়া দেখে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

এদিকে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে কালিয়াচকের তিন নম্বর ব্লকে। গঙ্গার জল চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে সেখানে। হঠাৎ করে জল স্তর নামতে শুরু করার পর শুরু হয়ে যায় ভাঙন। বীরনগর গ্রামে গত রাত থেকে এ পর্যন্ত কয়েকশো মিটার জমি তলিয়ে গেছে। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন বহু মানুষ। নিজেরাই নিজেদের ঘর বাড়ি ভেঙে পালাচ্ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে এদিন এলাকায় ছুটে যান রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। প্রায় দেড় কিমি এলাকা জুড়ে এই ভাঙন প্রক্রিয়া দেখে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

5 / 5
Follow Us: