Kaliachak Murder: বিবাহিত যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ের জন্য চাপ দিতেই ‘খুন’ নাবালিকা, কালিয়াচককাণ্ডে দাবি পুলিশের
Kaliachak: এই ঘটনার পর তদন্তে নামে কালিয়াচক থানার পুলিশ। মালদা, গাজোল, কালিয়াচক ও ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়। ধরা পড়ে অভিযুক্ত যুবক।
কালিয়াচক: মালদার কালিয়াচকে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা গ্রেফতার এক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতাকে ধর্ষণ করে পরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে অভিযুক্ত যুবক। এরপর তার মৃতদেহ অভিযুক্ত নিজের বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিমি দূরে রামনগর এলাকায় ফেলে রেখে আসে। কালিয়াগঞ্জের পর মঙ্গলবার কালিয়াচকে বছর বারো কী তেরোর এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয় মাঠের পাশ থেকে। প্রথমে তা দেখতে পান এলাকাবাসী। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে।
এই ঘটনার পর তদন্তে নামে কালিয়াচক থানার পুলিশ। মালদা, গাজোল, কালিয়াচক ও ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়। ধরা পড়ে অভিযুক্ত যুবক। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান যে, ধৃত যুবকের সঙ্গে ন’দিন আগে (মৃত্যুর ঘটনার) ফোন মারফত যোগাযোগ হয় ওই নাবালিকার। সোমবার তারা প্রথম দেখা করে। দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। পুলিশের দাবি, শারীরিক সম্পর্কের পর মেয়েটি অভিযুক্তকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু অভিযুক্ত যুবক তা নাকচ করে দেয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই যুবক বিবাহিত। তার দুই সন্তানও রয়েছে। বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়ার কারণে সে নির্যাতিতাকে ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর নিজের বাড়ি থেকে প্রায় দু’কিমি দূরে রামনগরে ফেলে রেখে আসে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR)চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছেন।চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য বলেছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই রিপোর্ট তলব করে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। ঘটনার এফআইআর কপি,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ওই বালিকার বয়সের সার্টিফিরেট,কীভাবে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল,সেই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কালিয়াচকের ঘটনা নিয়ে একটি টুইটও করেছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এনপিসিআর চেয়ারপার্সনের দাবি, ‘কালিয়াচকের ঘটনার মৃত বালিকার দেহ পুলিশ অপমানজনকভাবে নিয়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিশুকন্যাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ।’
গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার জানান যে তাঁরা একটি সাদা চাদরে মুড়িয়ে মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে পদ্ধতিগত কোনও ভুল রয়েছে বলে মনে হয় না। বস্তুত, উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর প্রকাশিত একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, মৃত নাবালিকার শরীর হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন চার পুলিশকর্মী। এরপরই তোলপাড় হয়ে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে কালিয়াচকের এই নাবালিকার মৃত্যু ঘটনা সামনে আসে। এরপরই পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, কেমন ভাবে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেই সমস্ত তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় এনসিপিসিআর।