Aadhar card hacking: হাতের ছাপ দিয়ে রেশন তোলেন? টাকা গায়েবের আশঙ্কায় ভুগছেন ডিলারও
Aadhar card hacking: আঙুলের ছাপ ছড়া দেওয়া যাবে না রেশন। নিয়ম এমনটাই। রেশনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে আধার। এদিকে সেই আধারই আবার জোড়া রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে। ফলে সহজেই তা লোপাট করে ফেলছে প্রতারকেরা। সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসেছে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
মালদহ: বিগত কয়েক মাসে রাজ্যজুড়ে একের পর এক প্রতারণার খবরে আধার আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে আম-আদমির মনে। আধার কার্ড লক করেও মিলছে না রেহাই। অভিযোগ বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে চুরি করে নেওয়া হচ্ছে টাকা। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। প্রতারকদের দৌরাত্ম্য যে দিনে দিনে ক্রমেই বাড়ছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন রেশন ডিলাররা। উদ্বিগ্ন রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়য়েশনও। ফাঁকা পকেটে রাস্তায় বসছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু, তারপরেও কিছুই করার থাকছে না তাঁদের। কিন্তু, প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে চুরি যে হয়ে যাচ্ছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন রেশন ডিলাররা।
কিন্তু, বিপদ থেকে নিস্তারের উপায় কোথায়? জানা নেই তাঁদেরও। আঙুলের ছাপ ছড়া দেওয়া যাবে না রেশন। নিয়ম এমনটাই। রেশনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে আধার। এদিকে সেই আধারই আবার জোড়া রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে। ফলে সহজেই তা লোপাট করে ফেলছে প্রতারকেরা। সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসেছে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশন। গ্রাহকদের সচেতন করার কাজও চলছে। কিন্তু, তারপরেও কাটছে না বিপদ। মালদা রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অসিত কুমার সাহা বলছেন, দ্রুত এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। মাঠে নামতে হবে কেন্দ্রকেও। নাহলে আরও বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে।
অসিতবাবু বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকেই হ্যাকিং নিয়ে অভিযোগ পাচ্ছি। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী আধার কার্ড লিঙ্ক আছে এমন কার্ডেই রেশন দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, রেশন তোলার সময় তাঁদের আঙুলের ছাপ দিতে হয়। তা না দিলে মাল তোলা যায় না। এটা সরকারের নির্দেশ। তাই আমাদের তো বিশেষ করণীয় নেই। সরকারের নির্দেশ তো মানতেই হবে। এরপরেও যদি এখান থেকে কিছু হ্যাক হয় সেই দায় তো আমাদের নয়। সেটা সরকার ভাববে।”