Ropeway Accident: আশঙ্কাই সত্যি হল! ত্রিকূটে এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোপওয়েতে আটকে বাঙালি পর্যটকরা
Malda: দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মধ্যে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের ৭ জনের খবর নিশ্চিত করা গিয়েছে।
মালদা: আশঙ্কা আগে থেকে ছিলই, সোমবার তা সত্যি হল। ঝাড়খন্ড ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে খোঁজ মিলল একাধিক বাঙালি পর্যটকের। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মধ্যে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের ৭ জনের খবর নিশ্চিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং বাকি ৪ জন পুরুষ। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে মাত্র এক মহিলা সহ মোট তিন জনকে উদ্ধারকারীরা নামিয়ে আনতে পেরেছেন। বাকিরা এখনও আটকে রয়েছেন ‘সেই’ রোপওয়েগুলির মধ্যেই। বাকিদের মতই তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা।
প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন হাতছানি অহরহ। তাই প্রতি বছর ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার ত্রিকুট পাহাড় ভ্রমণে ভিড় জমান লাখো-লাখো পর্যটক। বসন্তের বিকেলে যেন আরও মনোরম হয়ে ওঠে পাহাড়টি। রবিবার বিকালেও ত্রিকুটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমানো পর্যটকেরা উঠেছিলেন রোপওয়েতে। কিন্তু প্রাণোচ্ছল পরিবেশে নেমে আসে দুর্ঘটনার কালো মেঘ। বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে তার সমেত ছিঁড়ে পড়ে রোপওয়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একাধিক পর্যটকে। মুহূর্তের গোটা পরিবেশ বদলে যায় হাহাকারে।
এদিকে, তখনো একাধিকজন ঝুলে রয়েছেন রোপওয়েতে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ১২টি কেবিনে আটকে ৫০ জনের বেশি মানুষ। যার মধ্যে অনেকেই মহিলা। এদিকে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর অন্ধকার নেমে আসায় শুরু করা যায়নি উদ্ধারকাজ। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোপওয়েতেই আটকে ছিলেন তাঁরা। যদিও সোমবার ভোর হতেই উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। পাশাপাশি সেই কাজে নিয়োজিত হয় আইটিবিপি জওয়ান ও এনডিআরএফ টিম। তখনই এরাজ্যের বাসিন্দারাও আটকে রয়েছেন এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল।
উদ্ধারকাজ মধ্য দিবসে পৌঁছতে তা নিয়ে প্রায় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। আপাতত হরিশ্চন্দ্রপুরের ৭ বাসিন্দার খোঁজ মিললেও, এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে বলে মত। কারণ ঘটনার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সম্পূর্ণ হয়নি উদ্ধারকাজ। অনেকেই এখনও আটকে রয়েছেন কেবিনগুলির মধ্যেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাদের নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: Bhatpara: বোর্ড গঠনের পরও শান্তি নেই, এবার পুরবোর্ড বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ভাটপাড়ায়