Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভিডিয়ো:চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি! অপ্রতিরোধ্য ভাঙন মানিকচকে

Manikchak: স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গঙ্গার তীব্র ভাঙনে বালুটোলা গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন। ৫০০-র বেশি পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে ৭০ টি পরিবার।

ভিডিয়ো:চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি! অপ্রতিরোধ্য ভাঙন মানিকচকে
মানিকচকে এভাবেই রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন মানুষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 12:46 AM

মালদা:  গঙ্গা গিলছে গোটা গ্রাম। মালদার মানিকচকে (Manikchak) দীর্ঘদিন ধরেই গভীর ভাঙন চলছে। তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। চোখের নিমেষে নদীগর্ভে বসতি। ঘরের মায়া ত্যাগ করে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ  মানুষ। অভিযোগ, মেলেনি পুনর্বাসন। কোনওরকমে দিন গুজরান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গঙ্গার তীব্র ভাঙনে বালুটোলা গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন। ৫০০-র বেশি পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে ৭০ টি পরিবার। কিছুদিন আগে সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গোপালপুরের ভাঙন পরিস্থিতি দেখে যান। কিন্তু এখনও গৃহহারাদের পুনর্বাসন বা ত্রাণের কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ। সবচেয়ে করুণ অবস্থা গোপালপুরের। দিনের পর দিন চোখের সামনে সর্বস্ব নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন গোপালপুরের বাসিন্দারা। শুক্রবার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান দুর্গতরা। কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

বিপদের শেষ এখানেই নয়। বেঁচে বর্তে খড়কুটো বাঁচিয়ে যাঁরা থেকে গিয়েছেন, তাঁরা শিকার অন্য সমস্যার। দিনের বেশিরভাগ সময়েই গোটা এলাকা জুড়ে চলে লোডশেডিং। আলো মাঝেমধ্যে এলেও সেও না আসার মতো। সন্ধ্যা নামলে আঁধারেই দিন গুজরান। মানিকচকের নুরপুর গ্রামে রোজই পাওয়ার কাটের জেরে সমস্যায় হাজার হাজার মানুষ। অভিযোগ, বিদ্যুত্‍ দফতরকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। পঞ্চায়েত দফতর থেকে বিডিও অফিসে বার বার ছুটোছুটি করেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। শুক্রবার, বিদ্যুত্‍ দফতরের কর্মীদের অফিসে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, মানিকচকে (Manikchak) ভাঙন এই প্রথম নয়। এর আগেও বারবার ব্যাপক ভাঙনের সম্মুখীন হয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিছু বোঝার আগেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে জমির পর জমি। সম্প্রতি, মানিকচকের এলাকা পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের সেচমন্ত্রীও। খোদ মুখ্য়মন্ত্রী যখন ইয়াস পরবর্তী বৈঠকে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারপরেও কেন রোধ করা গেল না এই ব্যাপক ভাঙন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও, প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্রুত এই ঘটনার নিষ্পত্তি করা হবে।

দেখুন ভিডিয়ো:

আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বাঁচান!’, বন্ধ সৈকত-হোটেল, ভাটা পর্যটনে