Sukanta Majumder On Babul Supriyo: ‘বাবুলদা দলে থাকলে ভাল লড়াই হত’, কৌশলী মন্তব্য সুকান্তর

Sukanta Majumder: "আমার কোনও লবি নেই। ভারতীয় জনতা পার্টি একটি নির্দিষ্ট আদর্শ মেনে চলে। সেখানে কোনও লবি নেই।"

Sukanta Majumder On Babul Supriyo: 'বাবুলদা দলে থাকলে ভাল লড়াই হত', কৌশলী মন্তব্য সুকান্তর
বাবুল প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত? (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 10:04 AM

মালদা: “বাবুল দা (Babul Supriyo) আমার ভাল বন্ধু। তিনি থাকলে ভাল লড়াই হত।” বললেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

তিনি বলেন, “দল বদল যাঁরা করছেন তা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ওঁর (বাবুলের) দলবদলের সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত। তবে তিনি থাকলে ভাল লড়াই হত।” তাঁর কথায়, “আগামী দিনে দল চালাতে গিয়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে হবে। এটা নতুন পন্থা কিছু নয়।” পূর্বসূরীদের চলা পথেই তিনি হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গ রাজনীতিকে চমকে দিয়ে সদ্য ফুল বদলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে দলবদলের পরও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর নরম-গরম সম্পর্ক অটুট রয়েছে। আর নতুন করে এই ‘অর্থবহ লড়াই’এর নেপথ্যে রয়েছে দিলীপ ঘোষেরই একটি ফেসবুক পোস্ট। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর দিলীপ ঘোষ ফেসবুকে পোস্ট করেন, “ভারতীয় নতুন রাজ্যসভাপতি…” আর সঙ্গে সঙ্গেই এটিকে হাতিয়ার করে নেন বাবুল সুুপ্রিয়।  তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “বিগত কয়েক বছরে বঙ্গ বিজেপির জন্য অনেক খেটেছেন দিলীপ ঘোষ| তাই ওনার আগামী জীবন সুখের হোক এই কামনাই করি | কিন্তু মজার ছলে এটা বলতেই হচ্ছে যে আমার বর্ণপরিচয়টা কিন্তু ওনার লাগবে | ‘ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি…’ মানে কি? আবার ভুল বাংলা !” তাতে দিলীপ-বাবুলের নরম-গরম সম্পর্কটা আরও মাত্রা পেল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে বাবুল নিয়ে অত্যন্ত বিচক্ষণ মন্তব্য করলেন সুকান্ত মজুমদার।

দলের সংগঠনের ব্যাপারেও তিনি বলেন, “আমার কোনও লবি নেই। ভারতীয় জনতা পার্টি একটি নির্দিষ্ট আদর্শ মেনে চলে। সেখানে কোনও লবি নেই।” তবে কলকাতায় আসার আগেই প্রতিপক্ষ তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর কথায়, “রাজ্যকে তালিবান শাসনের আফগানিস্তান করতে চাইছে তৃণমূল। লড়াই সেটারই বিরুদ্ধে।” এ প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “রাজ্যে মেয়েরা নির্যাতিত। মালদায় গণধর্ষণ, খুনের ঘটনা বাড়ছে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরাই। শুধু তাই নয়, তালিবানি শাসন চালাতে গিয়ে এক নাবালিকাকে তাঁর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে খুন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে বিজেপি।”

নতুন বিজেপি রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁকে বেছে নিয়েছেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজনীতিতে সুকান্তর সফর খুব একটা দীর্ঘ নয়। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসন থেকে জয়লাভ করার পরই তাঁর প্রচারের আলোয় উঠে আসা। সেখান থেকে আজ রাজ্য বিজেপির প্রধান হলেন সুকান্ত।

তবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই নতুন করে একটি জল্পনা তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের হয়েই কি প্রতিনিধিত্ব করবেন? প্রশ্ন উঠছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। সর্বোপরি সদ্য প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষের কথাতেই সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

সুকান্ত মজুমদার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁ বুদ্ধিমান শিক্ষিত ছেলে, ভাল কাজ করবে।” দিলীপ ঘোষ বলেন, “কয়েক জনের নাম দিয়েছিলাম দলের কাছে। তাঁদের মধ্যে সুকান্ত একজন।” সুকান্ত মজুমদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথম কলকাতার বাইরে নেতা বিজেপি রাজ্য সভাপতি হলেন। খুব ভালো বিষয় সেটা। উত্তরবঙ্গের জন্য ভালো হল।”

তবে সুকান্ত বলেন, “সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে আমি একসঙ্গে দেখতে চাই। এখানে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের কোনও ভেদাভেদ নেই। আলাদা করে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ কিছু হয় না।”

আরও পড়ুন : Sukanta Majumdar: এবার মৃদুভাষী অধ্যাপকের হাতে বঙ্গ বিজেপির স্টিয়ারিং, কোন অঙ্কে দিলীপের উত্তরসূরি সুকান্ত?