TMC Leader Corruption Case: ত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা লুঠ, তৃণমূলের তিন নেতাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
TMC Leader Corruption Case: এই দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তিন জনকেই দু সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মালদা : বন্যাত্রাণের টাকা লুঠ করা হয়েছিল দিনের পর দিন। ত্রাণের জন্য দেওয়া টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিতেন মালদহের তৃণমূল নেতা। এই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। এবার সেই মামলায় তিন তৃণমূল নেতা নেত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। মালদহের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামনি সাহা, কর্মাধ্যক্ষ রোশনারা খাতুন ও তৃণমূল নেতা আফসার আলির বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলা করে পুলিশ।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা। তিন জনের বিরুদ্ধে ত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেছিলেন এক ব্যক্তি। প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেখানে তৃণমূলের তিন নেতা-নেত্রীর জামিন খারিজ হয়ে যায়। পরে অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এবার সুপ্রিম কোর্টেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল।
২০১৭ সালে হরিশ্চন্দ্রপুরে ভয়াবহ বন্যায় দুর্গতদের বন্যাত্রাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭৬ লক্ষ টাকা। সেই টাকাই আত্মসাৎ করার অভিযোগে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল প্রশাসন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের মতো জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। অভিযোগ হতেই প্রধান সোনামনি সাহা ও বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
কয়েকমাস গড়ালেও পুলিশ তাদের হদিশ পায়নি। প্রধানের বাড়িতে আদালতের নির্দেশ ঝুলিয়ে দিয়ে তাঁদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয়েছিল। এমনকি আদালতের নির্দেশে প্রধানের বাড়ি থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ফল মেলেনি। ধরা দেননি অভিযুক্তরা। প্রথমে নিম্ন আদালত ও পরে কলকাতা হাই কোর্টেও তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এবার অভিযুক্ত তিন জনকেই দু সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের কথা জানাজানি হতেই ফের দুর্নীতির ওই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। যা নিয়ে কটাক্ষের সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। ওই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের কোয়েল দাস ও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও প্রশাসনের তরফে পরে এফআইআর করা হয়। তাঁরা আগেই জামিন পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালতের নির্দেশ দল মেনে নেবে বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।