Didir Suraksha Kawach: কারা হবেন ‘দিদির দূত’, তাই নিয়েই শুরু এবার তৃণমূলের দ্বন্দ্ব
Didir Doot: প্রথম থেকেই যেন তাল কেটে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে পরিকল্পনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে। এমনকী 'দূত' কাদের করা হবে তা নিয়েও পুরনো ও নব্য তৃণমূলের মধ্যে মত বিরোধ শুরু হয়েছে।
মালদা: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ঠিক তার দু’মাস আগে বিশেষ দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। জন সংযোগ তো বটেই, আসলে এই আবহে এই দুটি কর্মসূচি তৃণমূলের ‘কর্মযজ্ঞ’ বলেই ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দুটি নতুন কর্মসূচি- ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ও ‘দিদির দূত’। রাজ্যবাসীর কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরাই হল এই কর্মসূচির কাজ। তবে মালদায় যেন ফাঁপড়ে পড়েছে তৃণমূল। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ আর ‘দিদির দূত’ এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছু স্থির করে উঠতে পারল না মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রথম থেকেই যেন তাল কেটে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে পরিকল্পনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে। এমনকী ‘দূত’ কাদের করা হবে তা নিয়েও পুরনো ও নব্য তৃণমূলের মধ্যে মত বিরোধ শুরু হয়েছে। ফলে কীভাবে এই প্রকল্প শুরু হবে সেটাই স্থির করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি কবে থেকে শুরু হবে তাও স্পষ্ট নয়।
কোনও নেতা বলছেন আমরা মাঠে নেমে পড়েছি। ৪ জানুয়ারি থেকেই শুরু। কেউ আবার বলছেন ১১ তারিখ থেকে শুরু হবে। আর তৃণমূলের এই নিয়ে কটাক্ষ আর সমালোচনা করতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষকে আবারও ধোকা দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প। আমরা এর আগেও দেখেছি দুয়ারে সরকার, যেখানে উন্নয়নের পরিষেবা বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাবে। এখন বাংলার মানুষ সব দেখছে।” ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়ালা বলেন, “আমাদের প্রত্যেক ব্লকের সমস্ত প্রেসিডেন্ট নিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। ১১ তারিখের পর থেকে প্রতিটি অঞ্চলে দিদির দূত হিসাবে তৃণমূল কর্মীরা পৌঁছে যাবেন। আশা করছি মালদার প্রতিটি অঞ্চলে দিদির দূত হিসাবে পৌঁছতে পারব।”মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রি মিত্র বলেন, “দিদির দূত বলতে তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে অঞ্চলের সাধারণ ভোটাররাও আমাদের সঙ্গে থাকবেন। ১২ মাস একই কাজ করি আমরা মানুষের জন্য।”
উল্লেখ্য, ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নতুন এই প্রকল্পের দ্বারা রাজ্যের প্রায় ২ কোটি পরিবারের কাছে রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। আর দিদির সাড়ে তিন লক্ষ ‘দূত’ পৌঁছে সেই সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কি না নিশ্চিত করবেন।