দরপত্রে দর-কষাকষি, সরকারি আধিকারিককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর তৃণমূল নেতার!

TMC: আক্রান্ত সরকারি আধিকারিক জালালপুর পঞ্চায়েত  দফতরের নির্বাহী সহায়ক। অভিযোগ, গ্রামের একটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য দরপত্রকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই সরকারি আধিকারিক মোবারক হোসেন।

দরপত্রে দর-কষাকষি, সরকারি আধিকারিককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর তৃণমূল নেতার!
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2021 | 6:50 PM

মালদা: দরপত্র (Tender) নিয়ে বিবাদের জেরে সরকারি আধিকারিককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন ওই আধিকারিক। ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান জুলফিকার আলি যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনাটি কালিয়াচকের ১ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

আক্রান্ত সরকারি আধিকারিক জালালপুর পঞ্চায়েত  দফতরের নির্বাহী সহায়ক। অভিযোগ, গ্রামের একটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য দরপত্রকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই সরকারি আধিকারিক মোবারক হোসেন। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আচমকা মোবারককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করেন জুলফিকার অভিযোগ এমনটাই। ঘটনায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সেলিম হাবিব সর্দার বলেন, “আমি ঘটনাটা জানতে পারার পরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ওই তৃণমূল নেতা যা করেছেন তা অন্যায়। এইভাবে কোনও সরকারি কর্মীকে আঘাত করা যায় না।”

জানা গিয়েছে, আহত  মোবারক হোসেন কালিয়াচক হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। তাঁর মাথায় ও কাঁধে গুরুতর চোট লেগেছে। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান জুলফিকর আলির বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। এমনকী বিষয়টি লিখিতভাবে জেলাশাসকককেও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও।

পাল্টা, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান জুলফিকার আলি বলেন, “বিডিও যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। বিরোধীরা কিছুদিন আগেই আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার চেষ্টা করে। সেই জায়গা থেকে বিরোধ। ওই নির্বাহী সহায়ক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কারণ, অনাস্থার জেরে দরপত্রকে কেন্দ্র করে একটি বিরোধ হয়। তার জেরেই এই অপপ্রচার করছেন ওই আধিকারিক। আমি এই ধরনের কোনও কাজই করিনি। বিরোধীরা যে চক্রান্ত করেছেন, সেই চক্রান্তের জেরেই এই ঘটনা। আমি এই বিষয়ে ইতিমধ্য়েই বিডিওকে সবটা জানিয়েছি। আশা করছি এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”

যদিও, জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে এমন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরাও প্রধান জুলফিকার আলির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও, বিজেপি দাবি, ওই পঞ্চায়েত প্রধান নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যেকোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেই জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।  আরও পড়ুন: Video: হাসপাতালের সিঁড়িতে চাদর মুড়ি দিয়ে উদ্দাম যৌনতায় যুগল? ভাইরাল দু’মিনিটের ভিডিয়ো