Malda : বন্যাত্রাণ দুর্নীতিতে মালদায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা, ‘রাঘববোয়ালদের বাঁচানোর ফন্দি’ বলছে বিজেপি
Malda : প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে।
মালদা: বন্যাত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা (Trinamool Leader)। গ্রেফতার মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতের চয়নপুর এলাকার তৃণমূল নেতা রাশেদ পারভেজ ওরফে রাজা। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায়। চুনোপুঁটিদের গ্রেফতার করে রাঘব বোয়ালদের আড়াল করা হচ্ছে। শাসকদলকে খোঁচা বিরোধীদের। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে শাসকদলের তরফে। যদিও আইন আইনের পথে চলবে, অপরাধ করলে কেউ বাঁচবে না, পাল্টা সাফাই দিয়েছে শাসক তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭৬ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও করেন কয়েকজনের বিরুদ্ধে। আদালতের রায়ে গ্রেফতার হন শাসকদল পরিচালিত বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা সহ আরও বেশ কয়েকজন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই উঠে আসে আরও ৪ জনের নাম। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা হরিশ্চন্দ্রপুর ১(এ) ব্লক মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী জয়শ্রী কর্মকার, তাঁর স্বামী তথা এলাকার তৃণমূল নেতা বাপি পাল, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাশেদ পারভেজ এবং আজাদের নাম শোনা যায়। তাঁদের মধ্যে আজ রাশেদ পারেভজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, বাকিরা এখনও অধরা।
ঘটনায় তোপ দেগেছে পদ্ম শিবির। স্থানীয় বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়া বলেন, “আজ যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি একজন ছোট নেতা। যাঁরা বড় বড় মাছ যেমন জয়শ্রী কর্মকার এদের গ্রেফতার করলে সব তথ্য উঠে আসবে। কিন্তু, শাসকদলের মদত আছে বলে এদের অ্যারেস্ট করা হচ্ছে না।” তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “প্রশাসনের কাছে যে রিপোর্ট আছে সে ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। দলটা বড় কথা নয়, দুর্নীতি করলে তাঁর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবেই। দলটা মানুষের কাজ করার জায়গা। তাই দলকে স্বচ্ছ রাখতেই হবে। তবে যাঁরা এখনও ধরা পড়েনি। তাঁদেরও খোঁজ চলছি।”