Trinamooler Nabojoyar: এ যেন মরণফাঁদ! ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ শেষে আবর্জনার ভাঁটা চাঁচলের মাঠে
Trinamooler Nabojoyar: অধিবেশনের পর রাত কাটান তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রায় এক সপ্তাহ ঠেকতে চলল শেষ হয়েছে তৃণমূলের সেই কর্মসূচি। কিন্তু দগদগে ক্ষত আর মাঠ দেখে চিড় ধরেছে খেলোয়াড়দের মনে। বেজায় ক্ষুব্ধ শহরবাসীও।
মালদহ: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন চাঁচলে। কর্মসূচি সেরে তিনি চলেও গিয়েছেন। কিন্তু এখনও অর্থাৎ প্রায় এক সপ্তাহ পরেও পড়ে রয়েছে তাঁবুর অবশিষ্টাংশ। আর তাতেই বেকায়দায় স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি মাসের ৩ মে মালদার চাঁচল স্টেডিয়াম চত্বরে তৃণমূলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের চাঁদের হাট বসে। ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচির জন্য রাজকীয়ভাবে খাটানো হয়েছিল শতাধিক তাঁবু । চলে উত্তর মালদার ৮৭ টি অঞ্চলের প্রার্থী বাছাইয়ের গোপনভোট। সেখানে অধিবেশনের পর রাত কাটান তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রায় এক সপ্তাহ ঠেকতে চলল শেষ হয়েছে তৃণমূলের সেই কর্মসূচি। মাঠে জঞ্জাল দেখে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়রা। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষও। এখনও খোলা হয়নি প্যাণ্ডেলের বাঁশ। রয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিক কেবল। মাঠের মধ্যে খুঁটি থেকে বেরিয়ে আছে বিপজ্জনক হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তার। বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন খেলোয়াড়রা। মাঠের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে মাটি উপড়ে নেওয়া হয়েছে।
একনজরে দেখলে মনে হবে মাঠ নয়, ক্ষেত। পাশাপাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নোংরা-আবর্জনা। এমনকি প্যাণ্ডেল তৈরিতে ব্যবহৃত লোহার পেরেক পড়ে রয়েছে জায়গায় জায়গায় । একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত। শরীরচর্চা করতে না পেরে ও মাঠের বেহাল পরিবেশ দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
মাঠের এক প্রান্তে কোনওরকমে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ক্রিকেট প্রশিক্ষক রাজেশ দাস। তিনি বলেন, “মাঠে ছোটো ছোটো গর্ত তৈরি হয়েছে। ক্রিকেট খেলতে খেলতে কিশোর কিশোরীদের পা ঢুকলে মচকে এমনকি ভেঙে পর্যন্ত যেতে পারে। মাঠের সুস্থ পরিবেশ ফেরানোর দাবি জানাচ্ছি।”
চাঁচলের বাসিন্দা দীপক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চাঁচলে বড়ো মাঠ নেই। সকালে- বিকেলে স্টেডিয়াম মাঠই শরীরচর্চা করার ভরসা। মাঠের অবস্থা দেখে আর যাচ্ছি না।”
বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন, “বাইরে থেকে কোটি কোটি টাকার তাঁবু নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই তাঁবু খাটানোর পর তো তিনি চলে গিয়েছেন, এখন মাঠটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আবর্জনা পড়ে রয়েছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।”
এইনিয়ে চাঁচল এক নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, “পরিকাঠামো ভাঙার কাজ চলছে। কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হবে। যেরকম মাঠ ছিল, সেই চেহারা ফিরে আসবে। এটা নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।” চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে, আবার মালদার চাঁচল স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গোপন ভোটের ব্যালটও। গোপন ভোটের ব্যালট ছড়িয়ে থাকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের কর্মীরা। এইভাবে যদি ব্যালট ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে ভোটের প্রয়োজন কী ছিল, প্রশ্ন তৃণমূলের একাংশের।