Malda labourers shot in Kashmir : স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, আচমকা ঘরে ঢুকে গুলি চালায় ২ জঙ্গি
Malda labourers : মালদা ও মুর্শিদাবাদের অনেক শ্রমিক কাজের জন্য কাশ্মীরে যান। এর আগে উপত্যকায় আক্রান্ত হয়েছেন এরাজ্যের শ্রমিকরা। ২০১৯ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
মালদা : স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। আচমকা ফোনে গুলির শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে ফোনের লাইন কেটে যায়। তারপর একাধিকবার চেষ্টা করলেও স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। দুশ্চিন্তায় পড়েন মালদার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর-হজরতপুরের বাসিন্দা মেরিনা বিবি। কয়েক ঘণ্টা পর বাড়িতে ফোন আসে। কাশ্মীরে ঘরের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁর স্বামী আনিকুল ইসলাম (Malda labourer shot in kashmir)। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আনিকুলের শ্যালক নাজিমুল হকও। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দুটি পরিবারের খোঁজ খবর নেয়।
জানা গিয়েছে, সাত ভাইবোনের মধ্যে বড় বছর তিরিশের আনিকুল। তাঁর শ্যালক নাজিমুলের বাড়ি জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হজরতপুরে। অভাবের সংসারে হাল ধরতে দুজনেই কাশ্মীরে পাড়ি দেন। সেখানে কখনও ঘাস কাটার কাজ, কখনও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। থাকতেন বড়গাম জেলার নওগাম এলাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন আনিকুল। বাড়িতে বাবা-মা, ছেলেরা কেমন আছে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। আচমকাই ফোনে গুলির শব্দ শুনতে পান মেরিনা বিবি। নওগামেই থাকেন চন্দ্রপাড়া এলাকার কয়েকজন শ্রমিক। কয়েক ঘণ্টা বাদে সেখান থেকেই মেরিনা ফোনে জানতে পারেন যে, স্বামী ও তাঁর ভাই নাজিমুল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা একই ঘরে থাকতেন। গতকাল তাঁদের ঘরে ঢুকে গুলি করে ২ জঙ্গি।
আনিকুলের স্ত্রী মেরিনা এদিন বলেন, ‘‘ওরা দুজনে একসঙ্গেই থাকত। তাই চিন্তা ছিল না। কিন্তু ওদের উপরে যে এমন হামলা হতে পারে ভাবতেই পারছি না। ওরা তো কারও কোনও ক্ষতি করেনি। ওদের কিছু হলে আমাদের পাশাপাশি বাপের বাড়ির লোকজনকেও পথে বসতে হবে।” চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারিভাবে এখনও আমাদের কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ঘটনার কথা জেনেই দুটি বাড়িতেই পুলিশকর্মীদের খোঁজখবর নিতে পাঠিয়েছিলাম। ওরা গুলিতে জখম হয়েছেন বলেই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।”
এদিকে খবর পেয়েই এদিন এলাকায় গিয়েছিলেন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে ফোন করে দুই শ্রমিকের অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর নেন। বিধায়ক বলেন, “ওদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সঠিক চিকিত্সা হয় তা জেলা প্রশাসনকে দেখতে বলব। আমরাও সবরকমভাবে পরিবারটির পাশে থেকে সাহায্য করব।’’
আরও পড়ুন : Anubrata Mandal vs CBI: চিকিৎসকদের নির্দেশে ‘বেড রেস্ট’, CBI-এর থেকে চার সপ্তাহ সময় চাইলেন অনুব্রত