Boy Beaten: ওষুধ কিনতে ১০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন যুবক, ফেরাতে দেরি হওয়ায় অমানবিক পরিণতি…
Maldah: নাগরাইয়ের আক্তারুল সাঁই। বছর তিরিশ বয়স। পরিবার জানায়, দিনমজুর হিসাবে খাটেন আক্তারুল। ইদানিং সেভাবে কাজ নেই। হাত একেবারেই ফাঁকা।
মালদহ: বেশ কিছুদিন আগে সোশাল মিডিয়ার একটি পোস্ট ঘিরে খুব হইহই পড়েছিল। লেখা ছিল, ‘আত্মীয়দের বলে দাও ১০০ টাকায় কিছুই হয় না।’ ১০০ টাকায় কিছু হয় কি হয় না তা তর্কসাপেক্ষ। এই ১০০ টাকা কারও কাছে নস্যি হলেও, কারও কারও কাছে এই ১০০ টাকা প্রাণের দামও হয়ে উঠতে পারে। মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার শুক্রবারের এক ঘটনা সে কথাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। একই সঙ্গে ফের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল মনুষ্যত্ব, মানবিকতাকে। পেশায় দিনমজুর এক যুবক। হাতে টাকা পয়সা একেবারেই ছিল না। ওষুধ কেনার জন্য তাই খুড়তুতো ভাইয়ের কাছ থেকে ১০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে সে টাকা কিছুতেই ফেরাতে পারছিলেন না। অভিযোগ, সেই রাগে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেন তুতো দাদারা। নৃশংস এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আক্রান্ত যুবকের কাকারও। ইংরেজবাজার থানার লক্ষ্মীঘাটের নাগরাইয়ের এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হতে চলেছে আক্রান্তের পরিবার। যদিও যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাগরাইয়ের আক্তারুল সাঁই। বছর তিরিশ বয়স। পরিবার জানায়, দিনমজুর হিসাবে খাটেন আক্তারুল। ইদানিং সেভাবে কাজ নেই। হাত একেবারেই ফাঁকা। টাকাপয়সার খুবই টানাটানি। এরইমধ্যে আচমকা শরীর খারাপ করে। বেশ কিছু ওষুধের প্রয়োজন ছিল। তাও শ’খানেক টাকা তো একসঙ্গে লাগতই। সে কারণেই আক্তারুল তাঁর খুড়তুতো দাদার কাছ থেকে গত মঙ্গলবার ১০০ টাকা ধার নেন। এরইমধ্যে সেই টাকা ফেরত চেয়ে চাপ আসতে শুরু করে দাদাদের থেকে।
অভিযোগ, শনিবার আক্তারুলের খুড়তুতো ভাই সাজুল সাঁই এসে হম্বিতম্বি শুরু করেন। অসুস্থ ভাইয়ের সঙ্গেই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আক্তারের মা আক্তারি বেগম বলেন, “অসুস্থ ছেলেটা ১০০টা ধার নিয়েছিল। সেই টাকার জন্য ছেলেটাকে ভয়ঙ্করভাবে মেরেছে। টাকা ছিল না বলেই তো তা দিতে পারেনি। আমার ছেলেকে প্রথমে ঘুষি মারতে শুরু করে সাজুল। এরপরই রাজু বলে আরও একজন এগিয়ে এসে ছেলেটার বুকের উপর উঠে বসে। এলোপাথাড়ি চড়, ঘুষি মারতে থাকে। গাল ফেটে রক্ত বেরোচ্ছিল। হাতে পায়েও জোর লেগেছে।” আক্তারুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।