Vande Bharat Express: বন্দে ভারতে ঢিল ছুড়ে পুলিশের হাতে পাকড়াও ৪, ধরা পড়তেই মুখে অদ্ভুত যুক্তি
Vande Bharat Express: পূর্ব রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক জানান, ট্রেন জনসাধারণেরই সম্পত্তি, জাতীয় সম্পত্তি। তাই এ ধরনের ঘটনার থেকে নিন্দনীয় আর কিছু হতে পারে না।
মালদহ: বন্দে ভারতে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে। বাংলায় এই ট্রেন চালু হওয়ার পর পাথর ছোড়ার ঘটনায় বাংলার আইনশৃঙ্খলাকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। অন্যদিকে শাসকদলও যথার্থ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এরইমধ্যে পূর্ব রেলের তরফে ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনা যখন ঘটে, তখন এই ট্রেন বিহার দিয়ে যাচ্ছিল। ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনায় চারজনকে শনাক্তও করেছে রেল। চারজনকেই পাকড়াও করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রথমে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলেই চতুর্থজনের খোঁজ মেলে। এই ঘটনায় কার কী ভূমিকা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই তাদের ধরার পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে রেল পুলিশ।
পাথর ছোড়ার ঘটনায় প্রথমে যে তিনজনকে পুলিশ পাকড়াও করে, তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, আগে তারা কয়েকজনকে এরকমই পাথর ছুড়তে দেখেছিল বিভিন্ন ট্রেনে। সেই কারণে নিছকই মজা করার জন্য তারা পাথর ছুড়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকলেরই বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাথর ছোড়ার পিছনে এটাই কারণ নাকি অন্য কিছু রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কিষাণগঞ্জ জেলা পুলিশ এবং আরপিএফ জানিয়েছে।
এদিন সকালেই পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “যেটা বোঝা যাচ্ছে কিষাণগঞ্জ জেলায় মাঙ্গুরজান নামে কোনও জায়গা আছে, বাংলা-বিহারের সীমানায়। মাঙ্গুরজানে ঘটনাটা ঘটেছে বলেই ফুটেজ দেখে বোঝা যাচ্ছে। তদন্ত চলছে। যারা পাথর ছুড়েছে তাদের ধরে ফেলা অসম্ভব হবে না। ক্যামেরা লাগানো আছে ট্রেনে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, এটা ভুললে চলবে না, ট্রেন না জন সাধারণেরই সম্পত্তি, জাতীয় সম্পত্তি। তাই এ ধরনের ঘটনার থেকে নিন্দনীয় আর কিছু হতে পারে না।
একলব্য চক্রবর্তীর কথায়, “এ ধরনের ঘটনা শুধু অপরাধ হয়, নির্বুদ্ধিতারও পরিচয় দেয়। আমরা সাধারণের মানুষের কাউন্সেলিং করছি, আরপিএফও করছে। আমরা আশাবাদী এই প্রবণতা বন্ধ হবে।” গত কয়েকদিনে বিজেপি বাংলায় এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে। পাল্টা তৃণমূলও খুঁজে বের করছে, বিজেপিশাসিত কোন রাজ্যে ট্রেনে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
তবে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তীর স্পষ্ট কথা, “আমাদের কাছে বাংলা বিহার বলে কোনও ভাগ নেই। পূর্ব রেলের পার্টে বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড সবই আছে। তাই যেখান থেকেই অপরাধ হোক, যেই অপরাধী হোক, আইন মেনে শাস্তি সে পাবেই।” আর রেলের নজরদারি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ৫৬১ কিলোমিটার পথে পুরোটা নজরদারি তো সম্ভব নয়। তবে স্টেশনে স্টেশনে নজরদারি প্রথম থেকেই চলছে।