Malda Firing: পরপর দু’রাউন্ড গুলি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হতেই শুরু পাথর ছোড়া, শীতের রাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘটনা
Malda: পরিবার সূত্রে খবর, সমীরণ কর্মকারের বাড়ি গাজোলের গোসানিবাদ এলাকায়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে আনা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে।
মালদা: মালদায় (Malda) স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লক্ষ করে গুলি। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাথর-ছুড়ে হামলা। লুট সোনা, চাঁদির অলঙ্কার। মালদহের গাজোলে রেলসেতু এলাকার ঘটনা। হামলায় গুরুতর জখম ব্যবসায়ী সমীরণ কর্মকার।
পরিবার সূত্রে খবর, সমীরণ কর্মকারের বাড়ি গাজোলের গোসানিবাদ এলাকায়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে আনা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রিবেলা সোনার দোকান থেকে মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, সেই সময় তিনটি মোটরবাইকে দুষ্কৃতীরা তাঁর পিছু নেয়। এরপর সমীরণবাবু গাজোল রেল সেতুর কাছে পৌঁছতেই তাঁকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।
এরপর গুলি মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে গেলে পাথর ছুঁড়ে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে প্রায় ২০ ভড়ি সোনার গহনা এবং প্রায় পাঁচ কেজি চাঁদির অলংকার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের চেষ্টায় দুষ্কৃতীদের একজনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
অভিযুক্তকে গাজোল থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। আটক যুবক মোথাবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তল্লাশি।
স্বর্ণব্যবসায়ীর দাদা নিশীথ কর্মকার বলেন, “ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন আমি ছিলাম না। ওই ভদ্রলোক দোকান থেকে আসছিলেন। তিনটি বাইক থেকে গুলি করা হয় ওনাকে। সেই গুলি কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার পর পাথর ছুড়তে শুরু করে। পাথরের আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। তখন ওনার কাছে থাকা সমস্ত কিছু লুঠ করে চম্পট দেয় সকলে। তবে একজনকে ধরতে পারা গেছে। বাকি সব পলাতক। যে ধরা পড়েছে সে মোথাবাড়ি। আমরা যখন ওনাকে উদ্ধার করি তখন খুব সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন। ওনাকে পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়।”