নাড্ডার মাঠে মানিক, গেরুয়া জমায়েতকে ছাপিয়ে যেতে প্রত্যয়ী বাম ব্রিগেড
দলের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক দাবি করেন, ৯ জানুয়ারি বর্ধমানে নাড্ডার র্যালিতে সমাবেশ হয়েছিল, তাকেও ছাপিয়ে যাবে এই সমাবেশ।
পূর্ব বর্ধমান: বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সভার জমায়েতকে টপকে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। আগামী ২ ফেব্রুয়ারী বর্ধমানে সিপিআইএমের ডাকা জনসভায় বক্তব্য রাখতে আসছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar)। তিনি দলের পলিটব্যুরো সদস্য।
‘ফেরাতে হাল, ধরো লাল’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে এই জনসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাম নেতৃত্ব। এদিন বর্ধমানের জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক দাবি করেন, ৯ জানুয়ারি বর্ধমানে নাড্ডার র্যালিতে সমাবেশ হয়েছিল, তাকেও ছাপিয়ে যাবে এই সমাবেশ। তিনি জানান, পূর্ব বর্ধমানের প্রতি বুথ থেকে লোক আসবে। এমনকি, নাড্ডার সভার পরের দিন তৃণমূল অভিনেতা সোহমের যে র্যালি করেছিল, তার চেয়ে অনেক লোক আনতে সক্ষম হবেন তারা।
তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁদের কর্মসূচিগুলিতে মানুষের যোগদান বাড়ছে। তাঁরা লড়াইয়ের ময়দানে আছেন। শুধু বিজেপি বা তৃণমূল নয়, তাঁরা যে আগামিদিনের একটা বড় শক্তি, সেটা প্রমাণ হতে চলেছে। একসময় অবিভক্ত বর্ধমানকে লালদুর্গ বলা হত। এখন সেখানে শাসকদলই শক্তিশালী। কিন্তু লকডাউনের আগে ও পরে নানাভাবে দল শক্তিসঞ্চয় করেছেন বলে মনে করছেন বামেরা।
আরও পড়ুন: অমিত-ভবনে ফের হেভিওয়েট বৈঠকে বঙ্গ নেতৃত্ব, থাকতে পারেন রাজীব-শুভেন্দুও
বর্ধমান শহরে নাড্ডার রোড শোয়ে ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। তৃণমূলও পরদিন বিরাট জমায়েত করে। এবারে দুদলের জমায়েতের চেয়ে বেশি জমায়েত করার টার্গেট নিল সিপিআইএম। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতা অমল হালদার, তাপস সরকার, সৈয়দ হোসেন।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর নৃশংস হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে