Jalpaiguri: চা বাগানের মধ্যে উদ্ধার চিতাবাঘের পচা গলা মৃতদেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা
Jalpaiguri: কী কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে তা এখও পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে ধোঁয়াশা খানিক কাটতে পারে বলে মন করছেন বন দফতরের কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি: ফের ডুয়ার্সের চা বাগান (Tea Garden) থেকে উদ্ধার হল চিতাবাঘের মৃতদেহ। যার জেরে জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) বানাহার্ট ব্লকের অন্তর্গত গ্যান্দ্রাপাড়া চা বাগান এলাকায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সূত্রের খবর, বুধবার বানাহার্ট ব্লকের অন্তর্গত গ্যান্দ্রাপাড়া চা বাগানের ৫২ বি সেকশনে বাগানের শ্রমিকরা একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘকে বাগানের মধ্যেই মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। দুপুরে শ্রমিকরা বাগানের পাতা তোলার কাজ করতে গেলে সেই সময় তাদের নজরে আসে চিতা বাঘের পচা গলা দেহ। তখনই খবর যায় বন দফতরে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিন্নাগুরি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীরা।
দুপুর ১ টা নাগাদ ঘটনা স্থলে যান বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায়, জলপাইগুড়ির ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী। তারপরেই চিতাবঘারে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঠিক কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে তা এখও পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে ধোঁয়াশা খানিক কাটতে পারে বলে মন করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে দেহ দেখে বন দফতরের কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়ে চা বাগানে আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে বাঘটি। পরবর্তীতে সেখানেই মৃত্যু হয়। অথবা কীটনাশক মিশ্রিত কোনও খাবার খেয়েও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। তাতেই বাঘটির দেহ খানিক পচে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, “বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে আমাদের জানানো হয় একটি চিতাবাঘ বাগানেপ মধ্যেই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাগানের ৫২ বি সেকশনে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল মৃত বাঘটির দেহ। পরবর্তীতে আমরা সেখানে গিয়ে চিতাটির পচাগলা দেহটি উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে অথবা কীটনাশক মিশ্রিত কোনও খাবার খেয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে”।