আল-কায়দা যোগ খুঁজতে এনআইএ-র কড়া নজর এখনও মুর্শিদাবাদে
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। ডোমকল ও রানিনগর থেকে অভিযুক্ত নয়জনকে গ্রেফতার করায় ওই এলাকার মানুষদের গতিবিধির উপর এখনও নজরদারি চালাচ্ছেন তাঁরা।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: জঙ্গি যোগ খুঁজতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সীমান্তবর্তী এলাকায় (border area) এখনও ঘাঁটি গেঁড়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । কয়েক মাস আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়দা জঙ্গি যোগে (Al-Queda suspect) নয় জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ (NIA)। তারপর থেকে এখনও অবধি চলছে তদন্ত।
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি (Jalangi)-তে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্প (BSF Camp)-এই রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। ডোমকল ও রানিনগর থেকে অভিযুক্ত নয়জনকে গ্রেফতার করায় ওই এলাকার মানুষদের গতিবিধির উপর এখনও নজরদারি চালাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের অন্যান্য এলাকাতেও সন্দেহভাজনদের লোক পাঠিয়ে বা নোটিস পাঠিয়ে ক্যাম্পে ডেকে এনে জেরা চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্র অনুযায়ী, বিগত কয়েকদিন ধরে বিএসএফ ক্যাম্পে কয়েকজন যুবককে ডেকে লাগাতার জেরা চালাচ্ছে গোয়েন্দারা। এরমধ্যে কয়েকজন যেমন সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন, কয়েকজন আবার তাঁদের ঘনিষ্ঠ। সন্দেহভাজনদের যাবতীয় গতিবিধি জানতে নজরদারির পাশাপাশি জেরাতেই জোর দিচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা এবং তাতে সাফল্যও মিলছে।
আরও পড়ুন: মানিকপুরে ১৫০ বছরের পুরোনো কালীমন্দির থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি
তবে গোয়েন্দাদের জেরার ভয়ে কার্যত তটস্থ হয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, আল কায়দা জঙ্গি বা অন্যান্য অসামাজিক কাজের সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই তাদের। পরিবারের লোকজনকে কিছু না জানিয়েই তুলে নিয়ে যাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। তবে তদন্তকারী সংস্থা যে এখনই মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাচ্ছেন না, তা স্পষ্টতই জানান দিয়েছে গতিবিধির মাধ্যমে।