Calcutta High Court: হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন অধীররা, রানিনগরে স্থায়ী পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে স্থগিতাদেশ
Calcutta High Court: রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ জন সদস্য, ৯ জন পঞ্চায়েত প্রধান, ৩ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ২ জন বিধায়ক ও একজন সাংসদের ভোটাভুটির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।
কলকাতা: রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী বোর্ড গঠনে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। সোমবার দুপুর বারোটায় নির্বাচন ছিল। বিচারপতির নির্দেশ, যদি নির্বাচন হয়ে থাকে, তাহলেও আগামী নির্দেশ পর্যন্ত ফলাফলে কোনও পদক্ষেপ নয়। কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, স্থায়ী নির্বাচনের নামে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আসলে কংগ্রেস কর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে, হুমকি দিচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধান নিজেই নিখোঁজ, একাধিক বোর্ড সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর রয়েছে। তার কীভাবে এই ধরনের বৈঠকে অংশ নেবেন? তাহলে এই বৈঠক পরবর্তী সময়ে ধার্য করা হোক। কংগ্রেসের তরফে এই আবেদন করা হয়।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছ থেকে তাদের বক্তব্য জানতে চান। কিন্তু এদিন রাজ্যের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত কোনও বক্তব্য রাখা হয়নি। বিচারপতি তখন নির্দেশ দেন, আগামী ১২ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নির্বাচনে কোনও রকমের পদক্ষেপ করা যাবে না। ইতিমধ্যে নির্বাচন যদি হয়েও থাকে, তাহলে ফলাফল কার্যকরী করা যাবে না, সেটাও নির্দেশে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়। রানিনগরের পঞ্চায়েত স্থায়ী সমিতির বোর্জ গঠনের ভবিষ্যৎ এখন ঝুলেই রয়েছে। রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন, জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুল রাজ্জাক এদিন সমিতিতে এলেও ভোটাভুটি স্থগিত।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন। রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ জন সদস্য, ৯ জন পঞ্চায়েত প্রধান, ৩ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ২ জন বিধায়ক ও একজন সাংসদের ভোটাভুটির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। কংগ্রেসের আইনজীবী বলেন, “গত ৮ তারিখ একটা ঘটনা ঘটে। তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। পঞ্চায়েত সমিতির অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা কোন ধরনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ? এই নিয়েই আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। ”
হাইকোর্টের এই নির্দেশ নিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলার গণতান্ত্রিক পরিবেশটা এত নিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছে, একটা বোর্ড গঠনের জন্যও আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস একটা ভোটে জিততে না পারলে, একেবারের আরএসএসের নির্দেশিত পথে হাঁটছে। মানবিকতার বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছে। সংবিধানকে অমর্যাদা করছে। এরপর যদি তৃণমূল-বিজেপির বোধদয় না হয়, তাহলে আমাদের দুর্ভাগ্য।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “আদালতের নির্দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। জানি না আর কত খেলে তৃণমূলের পেট ভরবে। তৃণমূলের পেট নাকি ইন্ডিয়ার গেট জানি না।”