Dilip Ghosh: দায় এড়াতে ‘বলির পাঁঠা’ করছে রাজ্য সরকার, কেএমডিএ-সিইও বদলিতে খোঁচা দিলীপের
Dilip Ghosh in Murshidbad: অন্তরা আচার্যকে কেএমডিএ থেকে বদলি করার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্রোক্তি, তাঁকে (অন্তরা আচার্যকে) 'বলির পাঠা' করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ : নজরুল মঞ্চে (Nazrul Mancha) কেকে’র (KK Death) অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার উপর কিছুদিন আগেই ঝড়ের মধ্যে সরোবরে রোয়িং করতে গিয়ে দুই পড়ুয়ার মৃত্যু… এই সব নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। আর এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল করা হয়েছে। সেখানে কেএমডিএ (কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)-র সিইও অন্তরা আচার্যকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে পূর্ত দফতরের সচিব পদে। সেই জায়গায় কেএমডিএ-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাঁকে কেএমডিএ-র সিইও পদে আনা হয়েছে। অন্তরা আচার্যকে কেএমডিএ থেকে বদলি করার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্রোক্তি, তাঁকে (অন্তরা আচার্যকে) ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেকে’র যে মৃত্যু হয়েছে, আমি বলছি এটি হত্যা। এখন তার জন্য কাউকে বলির পাঁঠা করা হবে। পুরোটাই সরকারের গাফিলতি। এই তৃণমূল সরকার কোনও কাজ ঠিকভাবে করতে পারে না। এখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি, অব্যবস্থা দুর্নীতি, স্বজন পোষণ… সংগঠন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোনও কাজে তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এত মানুষ ওখানে ঢুকেছে, পুলিশের বিষয়টি দেখা দরকার ছিল। দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। কিন্তু যে শিল্পীকে আমরা ডেকে নিয়ে এসেছিলাম, তাঁর গান শোনার জন্য… তাঁকে একপ্রকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কোনও শিল্পী এরপর কলকাতায় আসবেন কি আর? এই যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, তার দায় সরকার নিতে চাইছে না। কারও না কারও ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। তাই কাউকে সাসপেন্ড করে, কাউকে বদলি করে এটা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধেয় কলকাতার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কেকে। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে নজরুল মঞ্চের ভিতরে উপচে পড়া ভিড় নিয়ে সরব হয়েছেন কেকে’র ভক্ত-অনুরাগীদের একাংশ। নজরুল মঞ্চে যে পরিমাণ দর্শকের আসন রয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি ভিড় হয়েছিল, সে কথা আগেই মেনে নিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে বিষয়টিতে পুলিশের যে কিছু করার ছিল না, এমনই মনে করছেন মেয়র। কেকের মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশি ব্যবস্থাপনাকে কাঠগড়ায় তোলা হলে তার জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “পাচিল টপকে টপকে লোক ঢুকেছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ কী করবে? লাঠিচার্জ তো আর করতে পারে না।” তাঁর মত ছিল, মানুষের উচ্ছ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।