Murshidabad: কলকাতায় কাজে গিয়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের
Migrant Worker Death: এ দিকে, মৃত্যুর খবর কানে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। জানা গিয়েছে, কলকাতার বেহালা থানার মুরিয়া এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন মানোয়ার। পরিবার জানিয়েছে, বেলডাঙা মকরমপুরের এক ঠিকাদারের মাধ্যমে গড়ফায় কাজে যান তিনি।
মুর্শিদাবাদ: সকালবেলাও ফোন করেছিল মা-কে। দুপুরবেলাই এল মর্মান্তিক খবর। কার্যত ভাবতেই পারছেন না পরিবারের লোকজন। আঠারো বছরের ছেলেটা কাজে গিয়ে আর কোনওদিন বাড়ি ফিরবে না সে কথা যতবার চিন্তা করছেন কান্নায় ভেঙে পড়ছেন সকলে। মুর্শিদাবাদের ঘটনা। সেখান থেকে এল পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর। কলকাতায় কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শ্রমিকের। মৃতের নাম মনোয়ার হোসেন (১৮)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ভাবতা শঙ্কর এলাকায়।
এ দিকে, মৃত্যুর খবর কানে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। জানা গিয়েছে, কলকাতার বেহালা থানার মুরিয়া এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন মানোয়ার। পরিবার জানিয়েছে, বেলডাঙা মকরমপুরের এক ঠিকাদারের মাধ্যমে গড়ফায় কাজে যান তিনি। এরপর শনিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ বাড়িতে ফোন আসে মনোয়ারের। জানানো হয় তিনি নাকি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ তাঁকে খুন করা হয়েছে।
এরপর বেহালা থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত করছে পুলিশ প্রশাসন। খুনের অভিযোগ পরিবারের। মৃতের দিদি উড়শিয়া খাতুন বলেন, “মা-কে সকালবেলাও ফোন করেছিল। মা জিজ্ঞাসা করল কী করছ। বলল কাজ করছি। তারপর যা কথা হওয়ার হয়েছে। তারপর বলল রাত্রিবেলা আবার ফোন করব। এরপর দুপুরবেলা ওইখান থেকে ফোন এল যে ও নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। যখন দেহ এল আমরা দেখছি ওর গাল কাটা, গলার কাছে দাগ। যে নিজেকে হত্যা করে তার গালে কাটা হয় কীভাবে। ওকে খুন করা হয়েছে। মোটে আট দিন কাজ করল। আমার ভাইয়ের কোনও রাগ দুঃখ কিছু ছিল না। কেন ও আত্মহত্যা করবে?”