Humayun Kabir: ‘এরপরও মুখ্যমন্ত্রী শাওনির পক্ষে থাকলে আমাদের ভাবতে হবে’, কিসের ইঙ্গিত হুমায়ুনের?

Humayun Kabir: এরইমধ্যে বিধায়ক ও জেলা সভানেত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে ছুটে যান বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। বসেন বৈঠকেও।

Humayun Kabir: ‘এরপরও মুখ্যমন্ত্রী শাওনির পক্ষে থাকলে আমাদের ভাবতে হবে’, কিসের ইঙ্গিত হুমায়ুনের?
কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন হুমায়ুন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2023 | 8:25 PM

মুর্শিদাবাদ: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জেলার সাংগঠনিক সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের অপসারণের দাবি। অপসারণ না করলে বহরমপুরে জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের (Humayun Kabir)। যা নিয়ে জোর শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে। “৭২ ঘণ্টার মধ্যে শাওনি সিংহরায়ের অপসারণ না হলে তৃণমূলের পার্টি অফিস ঘেরাও করব।” এদিন সংবাদমাধ্যের মুখোমুখি হয়ে এই হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। 

এখানে না থেমে তিনি বলছেন, “লোক নিয়ে আসব। সেই লোক নিয়ে আমি আমার দাবি আদায়ের চেষ্টা করব। যদি রাজ্য নেত্বত্ব মেনে নেয় তো ভাল। কিন্তু, তারপরও যদি শাওনির পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন, তাহলে আমরা কী করব তারপরই বলব।”

তাহলে কি এবার সরাসরি দলের সুপ্রিমোকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন হুমায়ুন? যদিও ভরতপুরের বিধায়কের দাবি, তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সহকর্মী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো দল চালান না। উনি যখন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন তারপর আমরা ২১৩ জন জয়ী বিধায়ক তাঁকে দলনেত্রী নির্বাচিত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে দরবার করেছিলাম। তাতে আমার সই রয়েছে। শাওনি সিংহরায়ের সই নেই। তাই এখন মুখ্যমন্ত্রীর শাওনিকে প্রয়োজন নাকি আমাকে প্রয়োজন সেটা মুখ্যমন্ত্রীকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার সিদ্ধান্তের কোনও ব্যাপার নেই।” প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই কোন্দল তুঙ্গে উঠেছিল মুর্শিদাবাদে। এর আগে হুমায়ুন এবং জেলার আরও তিন তৃণমূল বিধায়ক প্রার্থী নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকেদের প্রার্থী করা হয়েছে। পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না বিধায়কদের। প্রধান্য দেওয়া হয়েছে ব্লক সভাপতিদের। 

এরইমধ্যে বিধায়ক ও জেলা সভানেত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে ছুটে যান বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সোমবার বহরমপুরের একটি বেসরকারি লজে মলয়ের নেতৃত্বে চার বিধায়ক, জেলা সভানেত্রী ও জেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বৈঠকও হয়। যদিও তারপরও রণংদেহী হুমায়ুন যে থামছেন না তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। এদিকে জেলার সাংগঠনিক সভাপতির সঙ্গে হুমায়ুনের সম্পর্কের শীতলতা জেলার কর্মীদের কমবেশি সকলেরই জানা। এবার তাঁদের কোন্দল নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হওয়ায় স্বভাবতই অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের। যদিও এ ঘটনায় শাওনি সিংহ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।