Murshidabad Body Recovered: রড আয়রনের খাটে ফোনের চার্জার, আর একটা কৌটো, দম্পতির ঘরে পা রাখতেই বিপদের আভাস পেলেন প্রতিবেশীরা

Murshidabad Body Recovered: মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ডোমকলের পুরাতন বিডিও অফিস মোড় সংলগ্ন বাড়ি থেকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সুনীল ছোটোখাটো কাজ করেই সংসার চালাতেন। পরিবারের আর্থিক সঙ্কট ছিল।

Murshidabad Body Recovered: রড আয়রনের খাটে ফোনের চার্জার, আর একটা কৌটো, দম্পতির ঘরে পা রাখতেই বিপদের আভাস পেলেন প্রতিবেশীরা
ডোমকলে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 7:25 AM

মুর্শিদাবাদ: সকাল থেকেই কোনও সাড়াশব্দ সেভাবে পাননি। রাত ন’টার পর থেকে অদ্ভুক স্তব্ধতা। জানলা খোলা ছিল ঘরের। কিন্তু সেভাবে ভিতরে কী ঘটছে, তা দেখা যায়নি। একপ্রকার খোঁজ নিতেই উঁকি দিয়েছিলেন অত্যুৎসাহী কয়েকজন প্রতিবেশী। দেখেন, সামনের ঘরের রড আয়রনের খাটের পড়ে রয়েছে স্ত্রীর দেহ। আর ভিতরে পড়ে একটা চৌকির ওপর পড়ে স্বামী। দু’জনের কারোর শরীরেই কোনও সার নেই। বিপদ আঁচ করেই পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে এক বাড়ি থেকে প্রৌঢ় দম্পতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদের নাম আন্না হালদার (৪২) ও সুনীল কুণ্ডু (৫২)।

মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ডোমকলের পুরাতন বিডিও অফিস মোড় সংলগ্ন বাড়ি থেকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সুনীল ছোটোখাটো কাজ করেই সংসার চালাতেন। পরিবারের আর্থিক সঙ্কট ছিল।

পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি। কিংবা এমনটাও হতে পারে, একে অন্যকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। দু’জনেরই শরীরে কোনও ক্ষতচিহ্ন ছিল না। স্ত্রীর মুখটা বালিশের কভার দিয়ে ঢাকা ছিল। খাটে পড়ে ছিল একটা বিষের কৌটো। পাশে ফোনের চার্জার।

এই ঘটনায় প্রতিবেশী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে ‘ক্লু’ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। আদৌ কি আর্থিক সঙ্কট, নাকি এর পিছনে সম্পর্কের টানাপোড়েনেরও বিষয় রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, আন্না সুনীলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। তাঁকে নিয়ে আলাদা সংসার শুরু করেছিলেন সুনীল। এক প্রতিবেশীর কথায়, “আমরা ওঁদের ঘরের বাইরে দেখতে পাইনি। প্রথমটায় মাথা ঘামাইনি। আমাদেরই কেউ ওঁদের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন, তখনই তো শুনি এসব ঘটে গিয়েছে।”

আরেক প্রতিবেশী বলেন, “কী কারণে ঘটেছে, বলা যাচ্ছে না। পুলিশ দেহগুলি নিয়ে গিয়েছে। সেভাবে তো আমরা বাইরে থেকে কিছুই বুঝিনি।”