Child Death: মুর্শিদাবাদে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৩, হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাহুলের

Child Death: প্রসঙ্গত, যে সমস্ত শিশুদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের বেশিরভাগকেই জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে জঙ্গিপুর হাসপাতালের এসএনসিইউ ওয়ার্ড নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

Child Death: মুর্শিদাবাদে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৩, হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাহুলের
বিস্ফোরক অভিযোগ রাহুল সিনহার Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2023 | 11:22 PM

মুর্শিদাবাদ: আরও বাড়ছে উদ্বেগ। মুর্শিদাবাদে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৩। ঘটনার তদন্তে দ্রুত মেডিক্যাল টিম তৈরির দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। মুর্শিদাবাদে ছুটলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ক্ষোভ উগরে দিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো নিয়ে। যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ-র দাবি, সংখ্য়াটা আদপে ১০। আর বাকি যে ৩ জনের কথা হচ্ছে এই রকম মৃত্যু প্রায়শই হাসপাতালে হয়। সবাইকে তো আর কলকাতায় পাঠানো সম্ভব হয় না। তবে হাসপাতালে যে পরিকাঠামোগত সমস্যা আছে তা মেনে নিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, যে সমস্ত শিশুদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের বেশিরভাগকেই জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে জঙ্গিপুর হাসপাতালের এসএনসিইউ ওয়ার্ড নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকার জন্যই চিকিৎসা করা যায়নি বলে খবর। রেফার করে দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল আবার শিশু মৃত্যুর জন্য তাদের ওজন কম ছিল বলে দাবি করছেন। এই যুক্তি মানতে নারাজ রাহুল। বলছেন, আমি পরিষ্কার সুপারকে বললাম ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন শিশুর মৃত্যু এটা কখনও ওজন কমের কারণে হতে পারে না। এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারজন শিশু মারা যায়। এখন এত শিশুর মৃত্যুর পিছনে নিশ্চয় কোনও কারণ আছে। এই কারণ খতিয়ে দেখার জন্য একটি মেডিক্যাল টিম দরকার। তা তৈরির জন্য আমি সুপারকে, স্বাস্থ্য দফতরকে বলছি। 

এরপরেই হাসপাতালের সামগ্রিক পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এখানে কোনও ডাক্তার নিয়মিত ডিউটি করেন না। গা ছাড়া ব্যাপার আছে। অধিকাংশ ডাক্তার আসেনই না। বিনা কাজে বেতন নিচ্ছেন। ডাক্তারদের পরিবর্তে এখানে হাউস স্টাস দিয়ে হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। নার্সিং স্টাফ কম। শিশুদের ৫১টা বেড আছে, সেই বেডে কখনও একশো বা একশোর বেশি শিশুদের রাখা হচ্ছে।” 

অন্যদিকে হাসপাতালে অধ্যক্ষ বলছেন, “মৃত্যুর সংখ্যাটা ১০। আর বাকি যেটা বলা হচ্ছে ওটা রেগুলার ভিত্তিতে। তিন-চারজন মারা যায়। সবাইকে তো বাঁচানো যায় না। কারণ এখান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে কলকাতা। তাই সেখানে রেফার করা যায় না সবসময়।” তবে হাসপাতালের সব পরিকাঠামো যে ঠিকঠাক নেই, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। বলেন, “আমাদের সব পরিকাঠামো ঠিকঠাক নেই। পঞ্চান্নটি বেডে হয়ত একশোর বেশি শিশু থাকছে। তারপরেও আমরা চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছি।”