TMC Clash: লাঠি, বাঁশ নিয়ে দাপাদাপি, শাসকদলের গোষ্ঠী-কোন্দলে ফের উত্তপ্ত কলেজ

Murshidabad: তাদের বাধা দেওয়ার জন্য তৎপর হয় জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার

TMC Clash: লাঠি, বাঁশ নিয়ে দাপাদাপি, শাসকদলের গোষ্ঠী-কোন্দলে ফের উত্তপ্ত কলেজ
তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2021 | 4:12 PM

মুর্শিদাবাদ: সামনেই নির্বাচন। কিন্তু জেলায় তার আগে থেকেই উঠে এসেছে গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর। এবার কলেজ খোলার আগেই উত্তপ্ত কৃষ্ণনাথ কলেজ (Krishnath College)। সেখান থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের খবর উঠে এসেছে।

মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ। জানা গিয়েছে, বহরমপুর শেখপাড়া এলাকার তৃণমূল নেতা (Tmc Leader) কায়েস ঘনিষ্ঠ মীর বহিরাগত কিছু ছেলে নিয়ে এসে কলেজের ভিতরে ঢোকে। এরপর লাঠি হাতে গোটা কলেজ জুড়ে দাপাদাপি করতে শুরু করে।

তাদের বাধা দেওয়ার জন্য তৎপর হয় জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার। জানা গিয়েছে,তাঁর ঘনিষ্ঠ ফিরোজ এর গোষ্ঠীর হাতাহাতি শুরু হয় মীর ও তার ছেলেদের। ঘটনায় কায়েস অনুগামী একজনের মাথা ফেটে যায়। তড়িঘড়ি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।

এই ঘটনা পরই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় কৃষ্ণনাথ কলেজের (Krisnanath College) ক্যান্টিন গ্রেট এর পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বহরমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা এসে ওই এলাকার সব চা-দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনার সময় উপস্থিত এক চা বিক্রেতা জানান, “আমি দোকান চালাতে-চালাতে গতকাল রাত থেকে আমার দোকানের কাছে বাঁশ ও কাঠের লাঠি মজুত করা হচ্ছিল। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে করা হচ্ছিল তা আমি বুঝতে পারিনি তবে ভয় তো একটা লাগছিলই। আন্দাজও করছিলাম কিছু একটা। তবে,পুলিশকে জানানোর সাহস পাইনি। এবং সকালে সেইসব লাঠি দিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় তিনিও ভীত সন্ত্রস্ত।”

জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ভীষ্ম দেব কর্মকারের দাবি একদল বহিরাগত কলেজ ঢোকার চেষ্টা করছি তাদের কলেজ ছাত্ররা বাধা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে জাকির হোসেনের বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয় জেলায়। খোদ পৌরসভার চেয়ারম্যান দলের বিরুদ্ধে কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। তৃণমূল পরিচালিত (বর্তমানে প্রশাসক) জঙ্গিপুর পৌরসভার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। তার অভিযোগ পৌরসভার জমি কোনও রকম টেন্ডার ছাড়াই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত কাজ হচ্ছে তার কোনও রকম সুচি টাঙানো হচ্ছে না। তাই এর বিরুদ্ধে তিনি লড়ে যাবেন। কোনও রকম ভাবে দলকে কলুষিত করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জাকিরের কথায়, “আমি রাজনীতিতে সেবা করতে এসেছি। তাই কোনও কাজে যদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বদনাম হয় আমি মনে করি সেই বদনাম আমার। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাতে কোনও বদনাম না হয় সেই বদনাম সরানোর চেষ্টাই আমি করছি। আমি এখানে কোনও দলের কথা বলছি না। আমি দুর্নীতিগ্রস্তদের কথা বলছি। ছয় বছর ধরে পৌরসভা কাজের কেন কোনও হিসেব দেখায়নি?আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।”

আরও পড়ুন: Petrol Price Today: আবারও বাড়তে পারে পেট্রোল ডিজেলের দাম, লম্বা লাফ অপরিশোধিত তেলের