Abhishek Banerjee: কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে শুভেন্দুর ছবি দেখালেন অভিষেক; ‘মমতার সঙ্গেও ছবি রয়েছে’, পাল্টা অধীরের
Adhir Chowdhury: এনআরসি ইস্যুতে কংগ্রসকে কটাক্ষ করেন আবার বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-র তলায়-তলায় জোট রয়েছে বলেও আক্রমণ করেন তিনি।
মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝাঁঝ বাড়চ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সভা করছেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। রবিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে পৌঁছন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে ওঠার পর থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আদ্যপান্ত আক্রমণ করতে থাকেন। এনআরসি ইস্যুতে কংগ্রসকে কটাক্ষ করেন আবার বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-র তলায়-তলায় জোট রয়েছে বলেও আক্রমণ করেন তিনি।
রবিবার সভামঞ্চে উঠেই একটি ব্যানার নিয়ে আসেন অভিষেক। বলেন, “কংগ্রেসের প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির জোট হয়েছে। আমি তথ্য পেশ করব। যদি প্রমাণ করতে না পারি মানহানির মামলা হোক।” এরপর একটি ব্যানারটি দেখান। সেখানে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থীর বায়রন বিশ্বাস সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখা যায়। অভিষেক বলেন, “রাম-বাম চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই” যদিও অধীর চৌধুরী বলেন, “এই সব বলার মানে এই এলাকায় কংগ্রেস জিতছে। আর বিজেপির এই নেতা একসময় তৃণমূলে ছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আমাদের এই নেতার ছবি রয়েছে। উনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।”
অভিষেক বলেন, “অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সিআরপিএফ কার অধীনে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। অমিত শাহ। যিনি এনআরসি নিয়ে এসেছেন। সেই অমিত শাহের পুলিশ অধীর চৌধুরীকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। অধীর চৌধুরীর বাংলার পুলিশের উপর ভরসা নেই। এর থেকে বড় গদ্দার কেউ নেই।” যদিও অধীর বলেছেন, “কোন পুলিশের উপর ভরসা করব ওরা বলুক। দিদি বলেছিলেন একবছরের মধ্যে আনিস খানের হত্যাকারীকে চিহ্নিত করব। এখনও হল না। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দলদাস। অভিষেক এসেছেন বলে হাজার-হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উনি কি পুলিশ মন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী? আমি ওনাদের পুলিশকে ভরসা করি না।”
আজ অভিষেক বলেন, “গুজরাটে কংগ্রেস ক্ষমাতায় ছিল এতদিন। সংগঠন আছে। কংগ্রেস প্রতিবাদ করে না। অসমে ১৭ লক্ষ লোককে এনআরসি করে নাগরিকত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ কংগ্রেসের সংগঠন থাকার পরও তারা প্রতিবাদ করে না। কতবার দেখা গেছে অধীর রঞ্জনকে? তৃণমূল কংগ্রেস বারবার প্রতিবাদ করেছে।” যদিও অধীর বলেন, “প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস মুক্ত ভারত চাই বলেছেন। তৃণমূল মুক্ত ভারত চাই বলেননি। জাতীয় কংগ্রেস পথে নামছে। ভারত জোড়ো যাত্রা করছে।”